‘রেমাল’ সমুদ্রের গভীর নিম্নচাপটি অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উপকূলে রোববার (২৬ মে) আঘাত হানার কথা। এ অবস্থায় জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ফায়ার সার্ভিসকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) এ বিষয়ে এক বার্তায় ফায়ার সার্ভিস উপকূল এলাকায় কর্মরত সংস্থাটির সব সদস্যের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সতর্ক রয়েছে উকূলীয় ফায়ার স্টেশনগুলো। সকলের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া খোলা হয়েছে কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় মনিটরিং সেল।
ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল জানায়, অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের নির্দেশনায় উপকূলীয় এলাকাসমূহের সব ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সদস্যদের সতর্ক ডিউটিতে রাখা হয়েছে। দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতি ফায়ার স্টেশনে ফায়ারফাইটিং টিম, সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম, প্রাথমিক চিকিৎসাকারী দল এবং ওয়াটার রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সরঞ্জামসহ অ্যাম্বুলেন্স, চেইন স, হ্যান্ড স, রোটারি রেসকিউ স, স্প্রেডার, মেগাফোন, র্যামজ্যাক বা এয়ার লিফটিং ব্যাগ, ফাস্ট এইড বক্সসহ যাবতীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজসহ রাস্তাঘাট যান চলাচল উপযোগী করার কাজে ফায়ার সার্ভিস নিয়োজিত থাকবে। তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়াররা। এসব এলাকায় জীবন ও মালামাল সুরক্ষায় দিবা-রাত্রি ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে ফায়ার সার্ভিস।
যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে সেবা গ্রহণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের নিকটবর্তী ফায়ার স্টেশন, বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হটলাইন নম্বর ১৬১৬৩ অথবা কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল-এর জরুরি মোবাইল নম্বর ০১৭৩০৩৩৬৬৯৯-এ কল করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আজ রাত ৯টায় আরও শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এরপর রোববার সকাল নাগাদ অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আঘাত হানতে পারে।
সাগরের মধ্যভাগ দিয়ে আসছে বিধায় এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করছে জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অতি দ্রুত মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূল অঞ্চলে চলে আসতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ৭ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও উপকূলে ৪ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :