ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, সংস্কৃতি একটি জাতির নিজস্বতা ও স্বকীয়তার পরিচয় বহন করে। এটি ঐক্য ও শক্তির নিয়ামক। সংস্কৃতির প্রশ্নে আমরা আপোষহীন।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের যৌথ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতির প্রশ্নে আমরা জীবন দিতেও কুন্ঠাবোধ করি না। তাইতো আমরা ১৯৫২তে রক্ত দিয়েছি। ১৯৭১-এ রক্ত দিয়েছি। আমাদের সংস্কৃতির মৌলিকত্ব রক্ষায় আমরা সোচ্চার। বর্তমান সরকার বাঙালি সংস্কৃতির লালন-পালন ও চর্চার ক্ষেত্রে নানামূখী প্রদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষের গৌরবদীপ্ত ভূমিকা রয়েছে। সাহিত্যক্ষেত্রে ময়মনসিংহ অত্যন্ত উবর্র ভূমি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামসহ বাংলা সাহিত্যের বহু স্মরণীয় ও বরণীয় কবি-সাহিত্যিকদের চরণ ধূলায় অভিষিক্ত এই অঞ্চল। এ অঞ্চলের ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ বিশ্ব সাহিত্যের উজ্জ্বল নাম।
সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল। শিক্ষার প্রসার, প্রযুক্তির উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রভৃতি কারণেই সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটে। সংস্কৃতি নতুন রূপ পরিগ্রহ করে। এটাই বাস্তবতা। বিশ্বের কোন সংস্কৃতিই এর বাইরে নয়। সংস্কৃতির এই পরিবর্তনশীল ধর্মের ক্ষেত্রে খুব বেশি রক্ষণশীল হওয়ার সুযোগ নেই। তিনি সংস্কৃতির চর্চাকে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সাবেক মন্ত্রী ও বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিচারপতি মো: জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক সিনিয়র সচিব জনাব মোঃ আব্দুস সামাদ, বিশিষ্ট নাট্যজন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব ম. হামিদ এবং ফোরামের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক জনাব রাশেদুল হাসান শেলী।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :