দেশের উপকূলে আঘাত হানার একদিন পরেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কাটেনি। মঙ্গলবার সকালেও থেমে থেমে বৃষ্টি, সঙ্গে দমকা বাতাস বইছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রেমাল এখন নিম্নচাপে পরিণত হয়ে মানিকগঞ্জ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উপকূলে তাণ্ডব চালিয়ে সোমবার (২৭ মে) ভোর ৬টার আগেই উপকূল পেরিয়ে যশোর হয়ে ঢাকার দিকে এগিয়ে যায় রেমাল। এরপরই ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমাগত দুর্বল হতে থাকে। প্রবল থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ের পর গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয় এটি।
অন্যদিকে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ সোমবার রাত ১২টার সর্বশেষ জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি বাংলাদেশের ওপর অবস্থান করছে এবং গত ৬ ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার গতিতে এটি পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে সরেছে এবং ২৭ মে রাত ১২টার সময় মোংলা থেকে ১৯০ কিলোমিটার উত্তর-উত্তরপূর্ব, শ্রীমঙ্গল থেকে ১২০ কিলোমিটার পশ্চিম এবং রাজধানী ঢাকা থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থান করছিল।
সংস্থাটি জানায়, ঝড়টি ময়মনসিংহ হয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের উত্তর পূর্ব দিকে দিয়ে পার হয়ে যাবে। জাপানি স্যাটেলাইট দিয়ে রেমাল পর্যবেক্ষণ করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ নাথ।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, গভীর নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে মানিকগঞ্জ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে। স্যাটেলাইটে দেখা গেছে নিম্নচাপটি (ঘূর্ণিঝড়ের অংশ) ভারতের মেঘালয়ের দিকে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রতিনিধিদের তথ্যানুসারে ঘূর্ণিঝড় রেমালে মৃত্যুবরণ করেছে ১৩ জন। বরিশালে তিন, ভোলায় তিন, পটুয়াখালীতে তিন এবং চট্টগ্রাম, খুলনা, সাতক্ষীরা ও লক্ষ্মীপুরে একজন করে। যদিও সরকারিভাবে গতকাল বিকালে জানানো হয়েছে ১০ জনের মৃত্যুর কথা।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :