জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রসঙ্গ নিয়ে জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলের তথ্যচিত্র কোনো এজেন্ডার অংশ কি না- তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ. আরাফাত। পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার নিয়ে প্রতিবেদন করে ডয়েচে ভেলেকে নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রমাণের তাগিদ দেন প্রতিমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সম্প্রতি জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ভয়চে ভেলের প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনের বড় একটি অংশজুড়েই ছিল নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত ছাড়া উদ্দেশ্যমূলক ধারা বর্ণনা, আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য মানহানিকর বক্তব্য। এতে সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা কতটা মানা হচ্ছে, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কায় তামিল বিদ্রোহ দমনের ছবি দেখিয়ে অবতারণা করা হয়েছে নানা প্রসঙ্গের, আর এটি শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের সেনা পাঠানো বন্ধ করতে নতুন কোনো তৎপরতা কিনা, এমন সংশয়ও সামনে আসছে।
প্রতিবেদনটি নিয়ে সেনা সদরের প্রতিবাদের পর মুখ খুলেছেন স্বয়ং সেনাবাহিনী প্রধান জেনালের এস এম শফিউদ্দিন আহমেদও। ডয়েচে ভেলের রিপোর্ট উদ্দেশ্যমূলক উল্লেখ করে সেনাপ্রধান পাল্টা প্রশ্ন রাখেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, এমন উদাহরণ দিতে পারবে কি কেউ?
এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ. আরাফাত। ডয়চে ভেচের প্রতিবেদন বিশেষ অ্যাজেন্ডাভিত্তিক কি-না, সে নিয়ে সংশয় তার। একইসঙ্গে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যাসহ মানবাধিকার লংঘন নিয়ে প্রতিবেদনের মাধ্যমে, জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যমটিবকে নিজেদের প্রকৃত স্বাধীনতা যাচাইয়ের অনুরোধও জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলছে কিছু গোষ্ঠী। সেসব প্রতিরোধে সরকারের অবস্থানও তুলে ধরেন মোহাম্মদ এ. আরাফাত।
কর্মশালায় তথ্য নিয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবাদিহিতা নিশ্চিতের তাগিদও দেন প্রতিমন্ত্রী।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :