ইউরোপীয় কোম্পানি এয়ারবাস নাকি আমেরিকান কোম্পানি বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হবে–সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. শফিউল আজিম। তিনি বলেছেন, উড়োজাহাজের বহরে ভিন্নতা আনা জরুরি।
বুধবার (২৯ মে) এভিয়েশন ও ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি।
বাংলাদেশ বিমানের বহরে বোয়িংয়ের আধিপত্য কয়েক দশকের। সব উড়োজাহাজই এই মার্কিন কোম্পানির তৈরি। তবে এবার উড়োজাহাজের বহরে পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে বিমান বাংলাদেশ। সেই বহরে এবার এয়ারবাসের উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়া সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
তেমনই ইঙ্গিত দিয়ে শফিউল আজিম বলেন, এয়ারবাস ফ্লাইট কেনার জন্য দুটি প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রথমটিতে দুটি কার্গো ফ্লাইট বিক্রির কথা বলা হয়েছিল। আমাদের মনে হয়েছে আপাতত আমাদের কার্গো বিমান কেনার দরকার নেই। তবে আমরা যাত্রীবাহী বিমান বহর বাড়ানোর ইচ্ছার কথা জানাই। তখন এয়ারবাস আমাদের চারটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট বিক্রির দ্বিতীয় প্রস্তাব পাঠায়। এই প্রস্তাব আগের প্রস্তাবের চেয়ে ভালো ছিল। সেই প্রস্তাব ইভ্যালুয়েশন কমিটি থেকে বিমানের বোর্ডে যায়। বোর্ড এ বিষয়ে এগোনোর নির্দেশনা দিয়ে নেগোসিয়েশন কমিটিতে পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের ভিন্নতা দরকার। দুই ধরনের যানেই যাত্রীদের পছন্দ আছে। যাত্রীরা বিকল্প চায়। কোনো সময় যেকোনো কোম্পানির এয়ারক্রাফট খারাপ পারফর্ম করতে পারে। ভবিষ্যতে ঝুঁকিতে যেন না পড়ি, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এয়াবাসের সঙ্গে নেগোশিয়েশন হচ্ছে। উড়োজাহাজ কেনার আলোচনা পলিসি মেইন্টেইন করেই হচ্ছে। বোয়িং ও এয়ারবাসের কম্বিনেশন বিমানের জন্যই সুফল বয়ে আনবে।
বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব প্রসঙ্গে শফিউল আজিম বলেন, বোয়িংও আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। শুরুতে এয়ারবাসের প্রোপোজাল যেমন আমরা নেইনি, তেমনি বোয়িংয়েরটাও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বোয়িং আমাদের টেকনিক্যাল, ফিন্যান্সিয়াল, ইঞ্জিনিয়ারিং সাপোর্ট দিচ্ছে। তারা খুবই বিশ্বস্ত সহযোগী। তাদের আমরা কিস্তি পরিশোধ করছি। ইভালুয়েশন হচ্ছে, তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব। নেগোশিয়েশন কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে কোনটা কেনা হবে। অফারগুলো থাকলে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে।
তবে যে এয়ারক্রাফটই কেনা হোক না কেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবে ক্রেতা হিসেবে বাংলাদেশ বিমান সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
একুশে সংবাদ/ই.ফ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :