ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় ঝড়-বৃষ্টিতে ভুট্টা, ধান ক্ষেত, ফলের গাছসহ বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে মাটিতে শুয়ে পড়েছে ফসলের ক্ষেত। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৭০টিরও বেশি পরিবারের ঘরবাড়ি। উপজেলা প্রশাসন থেকে সহায়তা দিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর নামের তালিকা তৈরি করছে।
উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে এই ক্ষয়ক্ষতির বেশি হয়েছে।
সরেজমিনে গণিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়,ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে বিদ্যালয়টির চারটি শ্রেণীকক্ষের টিনের চাল দুমড়ে মুচড়ে পড়ে। ভেতরে ক্লাসের ব্রেঞ্চগুলোও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ক্লাসের এমন দশায় পাঠদান নিতে পারেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। ক্লাস করতে না পেরে বাড়ি ফিরে গেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে আর্থিক কোনো ফান্ড নেই। বিদ্যালয়টি মেরামতে সরকারি সহায়তা না পেলে আমরা দ্রুত এই ক্লাসরুমগুলো মেরামত করতে পারব না। তাই আমি আকুলভাবে সরকারি সহায়তার আবেদন করছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঝড়ে জাবরহাট ইউনিয়নের ৬০টি পরিবারের ঘর-বাড়ি, কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ১০টি পরিবারের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুত সমিতির পীরগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম বাচ্চু মিয়া বলেন, ঝড়ের কারণে পীরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায়
১২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি, ৬টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আরও খোঁজ নিচ্ছি,দেখছি। যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুত সরবরাহ পুরোপুরি চালু করতে কাজ চলছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :