AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বঙ্গবন্ধু জেল, জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কিন্তু আপস করেননি


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬:১৪ পিএম, ৩০ মে, ২০২৪
বঙ্গবন্ধু জেল, জুলুম  নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কিন্তু আপস করেননি

মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিশ্বের মুক্তিকামী, নিপীড়িত, শ্রমজীবী ও দু:খী মানুষের প্রাণের নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু। শান্তি, সাম্য, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার চিন্তা ও দর্শন মানুষের মধ্যে প্রেরণা জুগিয়েছে। নিপীড়িত, নির্যাতিত শোষিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ বিশ্বের যে প্রান্তেই হোক না কেন, তিনি তাদের সংঙ্গে একাত্ম ছিলেন। জেল, জুলুম, অত্যাচারসহ অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। কিন্তু কখনো থেমে যাননি, আপস করেননি।

তিনি বৃহস্পতিবার ৩০ মে ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএস এস) আয়োজিত ‍‍`Bangabandhu: A Champion of World Peace‍‍` শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, শোষণ-বঞ্চনায় বিপন্ন মানুষ বরাবরই বঙ্গবন্ধুর চিন্তাজুড়ে ছিল। তবে তার সেই চিন্তা শুধু দেশের গণ্ডিতেই নয়, বরং তা বিস্তৃত ছিল বিশ্বজুড়ে। বিশ্বরাজনীতি প্রসঙ্গে অসীম সাহসী ও অকুতোভয় বঙ্গবন্ধু দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন, ‍‍`পৃথিবীর বৃহত্তম শক্তি যে অর্থ ব্যয় করে মানুষ মারার অস্ত্র তৈরি করছে, সেই অর্থ গরিব দেশগুলোকে সাহায্য দিলে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে।‍‍`

তিনি বলেন, শোষিত ও নিপীড়িত জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্টিয়াগোতে বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্বশান্তির সপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের জন্য শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পৃথিবীর ১৪০টি দেশের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এই পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার সেটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক অর্জন। বিশ্ব শান্তি পরিষদের দেওয়া ‍‍`জুলিও কুরি‍‍` শান্তি পদক ছিল জাতির পিতার বিশ্বমানবতার প্রতি কর্ম, ত্যাগ ও ভালোবাসার স্বীকৃতি। তিনি বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর মৌলিক দর্শন ও অবদানের মূল্যায়ন ছিল এই পদক। জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সম্মান।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৫ সাল থেকে প্রতি দু‍‍` বছর পর পর সম্মানজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তিনি বলেন এ লক্ষ্যে একটি আন্তর্জাতিক জুরিবোর্ড গঠন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। বাংলাদেশ ও  বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পুরস্কার দেওয়া হবে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা, যুদ্ধ নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ ও অবদান রাখা, দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখা, টেকসই সামাজিক পরিবেশগত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন- এইসব ক্ষেত্রগুলো পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে।

বিআইআইএসএস এর চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত আ ফ ম গওসোল আযম সরকারের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম,বিশ্বশান্তি পরিষোধ বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু, বিআইআইএসএস এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ আবু বকর সিদ্দিক খান, বিআইআইএসএস এর জেষ্ঠ্য গবেষক এম আশিক রহমান, বীর প্রতীক সাজ্জাদ আলী জহির বক্তৃতা করেন।

একুশে সংবাদ/ এসএডি

 

Shwapno
Link copied!