পত্রিকার পাতা খুললেই কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের খবর চোখে পড়ে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, আকাশ সংস্কৃতি, মাদকাসক্তি, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার কিশোর-তরুণদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এক্ষেত্রে কিশোর-তরুণদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে স্কাউটিং কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপ্রধান।
রোববার (২ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কাউন্সিলের ৫২তম বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী পর্বে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক প্রভাব, মাদকাসক্তি, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার আমাদের কিশোর-তরুণদের ওপর মারাত্মক কুপ্রভাব ফেলছে। শহর-উপশহরে কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান এসবেরই বহিঃপ্রকাশ।’
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘পত্রিকার পাতা খুললেই কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের খবর চোখে পড়ে। এ অবস্থায় কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে স্কাউটিং ইতিবাচক ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। গ্রামে গ্রামে যদি স্কাউট আন্দোলন গড়ে তোলা যায়, তাহলে কিশোর গ্যাংসহ নানা অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।’
তিনি বলেন, গতানুগতিক স্কাউটিং কার্যক্রমের পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এবং জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কার্যক্রমে জনমত গড়ে তুলতেও এগিয়ে আসতে হবে।
বর্তমানে স্কাউটের সংখ্যা ২৫ লাখের বেশি হলেও জনসংখ্যার তুলনায় এ সংখ্যা অপ্রতুল জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আশা করি, বাংলাদেশ স্কাউটসের ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান-২০৩০ অনুসারে স্কাউট সদস্য ৫০ লাখে উন্নীত হবে। তবে স্কাউট সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগত মানও নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরকেও স্কাউটিংয়ে সমানভাবে সম্পৃক্ত করতে হবে।
বাংলাদেশে স্কাউট আন্দোলনকে জোরদার করতে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য নতুন প্রজন্মকে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য স্কাউটিং একটি উপযুক্ত সংগঠন।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের লক্ষ্য পূরণে আমাদের ছেলে-মেয়েদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য স্কাউট প্রশিক্ষণ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। স্কাউটিংয়ের সার্বিক কর্মসূচিকে সময়োপযোগী এবং দেশের টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :