এখন থেকে যানবাহন মেরামতের কারখানাকে বিআরটিএ`র নিবন্ধন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ে রিপোর্টার্স ফর রেল এন্ড রোডের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন বিধিমালা অনুযায়ী এ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
অচল গাড়ি সচল করা, নকশা পরিবর্তন বা যন্ত্রাংশ সংযোজনসহ গাড়ির যে কোনো সমস্যার সমাধান হয় ওয়ার্কশপে। এতোদিন সরকারি নজরদারির আওতায় না থাকলেও এবার এসব ওয়ার্কশপকে নিবন্ধনের আওতায় আনছে বিআরটিএ। সংস্থাটি বলছে, এর ফলে ঠিক থাকবে যন্ত্রাংশের গুণগত মান।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘এই মেরামত কারখানাগুলো যদি আমরা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে পারি, আমাদের শৃঙ্খলার মধ্যে আসে, যদি ভালো কোয়ালিটির কারখানা হয়। সেভাবে আস্থা তৈরি করতে পারলে ৫–৭ বছর পর ফিটনেসের জন্য তাদের থেকেও আউটসোর্স করতে পারব। এতে তো বাধা নেই।’
হালকা প্রকৌশল শিল্প মালিকদের তথ্যমতে, দেশজুড়ে ওয়ার্কশপ রয়েছে ৪০ হাজারের বেশি। আর বিআরটিএ চেয়ারম্যান জানান, এ বছরের মে পর্যন্ত সারা দেশে নিবন্ধনকৃত মোটরযানের সংখ্যা ৬০ লাখ ৭০ হাজার ৫৪১টি।
নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘এই মেরামত কারখানায় কিন্তু ওরা আউটসোর্স করে ফিটনেস দেয়। অথরিটি ভিন্ন। কিন্তু রিপোর্টটা ওখান থেকে আউটসোর্স করা হয়। আমি ইউরোপের কথা বলছি। এখন আমাদের লক্ষ্য হলো বিএসি। প্রতিটি জায়গায় পর্যায়ক্রমে বিএসি হবে।’
মতবিনিময় সভায় চেয়ারম্যান আরও জানান, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস টার্মিনাল এলাকায় কোন পরিবহনের একাধিক কাউন্টার রাখতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, একাধিক কাউন্টার থাকলে সেখানে বাস দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে, যানজটের কারণে যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে দেরি হয়।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :