গত মাসে পানির দাম বাড়ানোর ঘোষণার পর এবার নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট খাওয়ার পানি বিশুদ্ধ করার ওয়াটার ফিল্টারের দাম বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন।
এসময় তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে গৃহস্থালিতে ব্যবহারযোগ্য পানি পরিশোধন যন্ত্র উৎপাদিত হচ্ছে। তাই আগামী বাজেটে দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় এ যন্ত্রের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হলো।
এর আগে গত ২৯ মে এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ১ জুলাই থেকে বাসাবাড়ি ও অফিস আদালতে সরবরাহ করা পানির দাম ১০ শতাংশ বাড়ানো হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ টাকা ৭০ পয়সা, যা এখন আছে ১৫ টাকা ১৮ পয়সা। এছাড়া বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য একই পরিমাণ পানির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ টাকা ২০ পয়সা, যা বর্তমানে আছে ৪২ টাকা।
জাতীয় সংসদে তিনি `সুখী সমৃদ্ধ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার` শীর্ষক বাজেটের বক্তৃতায় আবুল হাসান মাহমুদ আলী আরও বলেন, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা জিডিপির ৯.৭ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর মাধ্যমে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস হতে ৬১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার প্রস্তাব করা হলো।
এছাড়া আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটের আকার ধরা করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ১৪.২ শতাংশ। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হলো।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ৪.৬ শতাংশ। এ হার গত বাজেটে ছিল ৫.২ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে নির্বাহ করার জন্য প্রস্তাব করা হলো।
উল্লেখ্য, এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট। আগামী ৩০ জুন এ বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।
একুশে সংবাদ/জ.ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :