ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের বিরুদ্ধে সংস্থাটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ড. সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানির চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে স্বপদে বহাল ছাড়াও যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করতে বলেছেন আদালত।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে সোমবার (১০ জুন) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবীর পল্লব।
২০২৩ সালের ২২ জুন ড. সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানিকে বোর্ডের ৩০৫তম সভায় অব্যাহিত দেওয়া হয়। পরে ১৬ জুলাই ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের বিরুদ্ধে সংস্থাটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ড. সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানিকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সুজিত কুমার বালা তখন এ তথ্য জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) সঙ্গে ডিএমডির ঠিক বনিবনা হচ্ছিল না। বনিবনা না হলে অনেক কাজে সমস্যা হয়। ওয়াসার স্বার্থেই বোর্ড তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিছুদিন ধরেই ডিএমডির সঙ্গে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের দূরত্ব তৈরি হয়। এমডির কিছু সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ান ড. ইয়াজদানি। এ অবস্থায় বোর্ডের ৩০৪তম সভার এজেন্ডা হিসেবে ইয়াজদানির অব্যাহতির প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই সভায় বোর্ড সদস্যরা আপত্তি দেন। তারা বলেন, একজনকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডসভায় এমডি ও চেয়ারম্যান বোর্ড সদস্যদের মতামত গুরুত্ব না দিয়ে ইয়াজদানিকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানি বলেন, আমি কিছু বলতে চাই না। যারা বোর্ডের সদস্য রয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাহলেই জানতে পারবেন।
২০২২ সালের ১৬ মে ড. গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানিকে ডিএমডি (মানবসম্পদ ও প্রশাসন) পদে নিয়োগ দেয় ওয়াসা বোর্ড। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী একজন ডিএমডির ৩ বছর দায়িত্ব পালনের কথা। সে অনুযায়ী ২০২৫ সালের ১৫ মে পর্যন্ত তার দায়িত্ব পালনের কথা। কিন্তু কিছু অসঙ্গতির বিষয়ে আপত্তি দেওয়ায় ইয়াজদানি ওয়াসা প্রশাসনের বিরাগভাজন হন। ইয়াজদানির এ রকম বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হন এমডি তাকসিম এ খান। এ রকম বক্তব্য দেওয়ার আইনি অধিকার তার নেই বলেও তাকে জনিয়ে দেন এমডি। এরপরই ডিএমডির পদ থেকে চাকরিচ্যুত হন তিনি। পরে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ইয়াজদানি।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :