পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা এখন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাই এখন কেউ বিচ্যুত আচরণ কিংবা লুকিয়ে লুকিয়ে অপরাধ করেও পার পাবে না। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় হোক আর মৌলভীবাজারের গোপন আস্তানা হোক- সবখানেই পুলিশের নজরদারি রয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) সকালে সিলেটে ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ইমাম, আলেম ও সুশীল সমাজ প্রতিনিধিদের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) সিলেট পুলিশ লাইনের শামছুল হক মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি আরও বলেন, জঙ্গিবাদীরা দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে চায়। তারা ছেলেদেরকে ভুল পথে ধাবিত করে। তাদেরকে দেশের মানুষ পছন্দ করে না। জঙ্গি হিসেবে পরিচিত হওয়া সবার জন্য লজ্জার।
জঙ্গিবাদকে অনেকাংশেই দমন করা হয়েছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, মৌলভীবাজার, বান্দরবান ও অতি সম্প্রতি নেত্রকোনায় গড়ে ওঠা জঙ্গি আস্তানা চিহ্নিত করে এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, মুসলমানদের খাটো করার জন্য জঙ্গিবাদের সাথে ইসলামকে জড়ানো হচ্ছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জঙ্গিবাদ রুখে দিতে হবে।
এটিইউর ডিআইজি (প্রশাসন) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন—এটিইউর অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন—সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান এবং সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :