ঈদ যাত্রায় কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সব কয়টি ট্রেন বিলম্বে ছেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে গরমে বেশি সমস্যায় পড়েছেন নারী ও শিশুরা। ১২ জুন সকাল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যাওয়া ১৫টি ট্রেনের সবকটি বিলম্বে ছেড়েছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনের প্রথম ট্রেন রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯) ভোর ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি স্টেশন ছেড়েছে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে। দিনের দ্বিতীয় ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬) ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ঢাকাস্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়েছে ৬টা ৫০ মিনিটে। তৃতীয় ট্রেন সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯) সকাল সাড়ে ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ঢাকা স্টেশন ছেড়েছে সকাল সাড়ে ৮টায়। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে কিশোরগঞ্জগামী এগারোসিন্দুর প্রভাতী (৭৩৭) ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে যায় সকাল ৯ টা ১৯ মিনিটে।
এছাড়াও মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার (৪৩) সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোনও প্লাটফর্ম পায়নি; চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী কমিউটার (৪) ৮টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও কোনও প্লাটফর্ম পায়নি। পরে অবশ্য এগুলো ছেড়ে গেছে। এছাড়া রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস (৭৭১) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ৪০ মিনিট বিলম্বে ট্রেনটি ৯টা ৫৭ মিনিটে ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যায়।
এছাড়া কমলাপুর স্টেশনে দেখা যায়, জামালপুর এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ১ নম্বর প্লাটফর্মে অপেক্ষা করছে। সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি স্টেশনেই পৌঁছায়নি। তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস বেলা সাড়ে ১১টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটিও পৌঁছায়নি প্লাটফর্মে।
এ নিয়ে মনিরুল নামের এক যাত্রী বলেন, ‘পরিবারসহ জামালপুর যাব। সকাল ১০টার ট্রেন প্রায় দুই ঘণ্টা হয়ে গেল এখনো আসেনি। গরমে বাচ্চাদের নিয়ে কষ্টে আছি।’আরেক যাত্রী সজিব হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক ঘণ্টা বসে আছি। এখনো প্লাটফর্মে ট্রেন আসেনি। কি হচ্ছে বুঝতে পারছি না। ভোগান্তির শেষ নেই।’
কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ঢাকায় আসার পর ট্রেনগুলো আবার ছেড়ে যায়। এখন ওইদিক থেকে যদি কোনও ট্রেন দেরিতে আসে তাহলে ট্রেনগুলো এইখান থেকেও দেরিতে ছেড়ে যায়। কারণ ট্রেনগুলো ঢাকায় আসার পরে ক্লিনিং, ওয়াটারিং করা হয়। এর জন্য প্রত্যেকটা ট্রেনে অন্তত এক ঘণ্টা সময় লাগে।’তিনি আরও বলেন, ‘আজ থেকে ট্রেনে ঈদ যাত্রা শুরু। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেনগুলো ১০-২০ মিনিট দেরিতে ছাড়তে হতে পারে। আজ থেকে শুরু হয়েছে ‘স্পেশাল’ ট্রেন সার্ভিসে ঈদযাত্রা।
একুশে সংবাদ/ আ.স/হা.কা
আপনার মতামত লিখুন :