রাজধানীর মহাখালীর আমতলী এলাকায় প্রচন্ড তাপদাহে সিএনজি চালক সারোয়ার ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়লে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হাফিজ ও সার্জেন্ট রাব্বানী ও শরীফ মিলে সিএনজি চালককে মাথায় পানি দিয়ে, তরল খাবার খাইয়ে সুস্থ করে তোলেন।
বুধবার (১২ জুন) দুপুর আড়াইটার সময় মহাখালী আমতলী এলাকার সিগনালে দাঁড়ানো অবস্থায় এক সিএনজি চালক অসুস্থ হয়ে পড়লে সিএনজির গেট খুলে বের হয়ে বমি করতে থাকেন এবং একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। তখন কর্তব্যরত টিআই এবং সার্জেন্ট উক্ত সিএনজি চালককে সেবা দিয়ে সুস্থ করে পরিবারের লোকজনদের কাছে সিএনজি এবং চালককে হস্তান্তর করেন।
‘ট্রাফিক গুলশান ডিভিশন’ এর একটি ফেসবুক পেইজে এর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। তাদের লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
‘‘মানুষ মানুষের জন্য : ট্রাফিক পুলিশের মানবতা
=======================================
সারোয়ার ইসলাম। পেশায় সিএনজি চালক। থাকেন গেন্ডারিয়ায়। বয়সে পঞ্চাশের ঘর পেরিয়েছেন হয়তো।
ঘড়ির কাঁটা তখন দুপুর আড়াইটা ঘরে। প্রচন্ড গরম আর প্রতিকূল আবহাওয়ায় সবার অবস্থাই কাহিল।
এরমধ্যে সারোয়ার, সিএনজি চালিয়ে এসে থামেন আমতলী ক্রসিংয়ে। হঠাৎ তিনি সিএনজি থেকে নেমেই বমি করা শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিতে পড়েন। জ্ঞান হারিয়ে বেগতিক অবস্থা তখন তাঁর।
এমন ঘটনা দেখে ভীষণ মায়া হয় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হাফিজের। তিন তার দুই সার্জেন্ট রাব্বানী ও শরীফ মিলে ধরাধরি করে সারোয়ারকে নিয়ে আসেন ট্রাফিক বক্সের সামনে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সেবা-শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তোলেন এবং তাকে নরম খাবার ও
পানি খেতে দেন।
পরে সিএনজি চালক সারোয়ারের পরিবারকে খবর দেওয়া হলে তারা সিএনজি ও সারোয়ারকে নিয়ে যান।
এমন মানবিক উদ্যোগকে মহৎ কাজ হিসেবে উল্লেখ করে সারোয়ারের পরিবার বলেন -" পুলিশ সত্যিকারভাবেই আমাদের বন্ধু, বিপদে সবার আগে এগিয়ে আসে পুলিশ ভাইয়েরাই"।
এমন কাজের জন্য Traffic Gulshan Division এর পক্ষ থেকে আমরাও টিআই হাফিজ, সার্জেন্ট রাব্বানী ও সার্জেন্ট শরীফকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’’
‘একজন রিপোর্টার হিসেবে আমি গুলশান ডিভিশনের ট্রাফিক বিভাগের এমন কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। ট্রাফিক পুলিশের এমন মহতী কাজের জন্য তারা প্রশংসা পেতেই পারে। সবার কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই ‘মানুষ-মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’।’
এখানে উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন আগে একুশে সংবাদ ডট কম এ মহাখালীর যানজট পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল (মহাখালীতে অবৈধ পার্কিং, এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট) সেই রিপোর্টের আলোকে ট্রাফিক গুলশান ডিভিশন যথেষ্ট ভালো ভূমিকা নিয়েছেন। সে কারণে, অত্র এলাকা দিয়ে চলাচলরত সাধারণ মানুষ এখন যানজট মুক্ত ভাবে চলাচল করতে পারছেন। ট্রাফিক পুলিশের এরকম ভালো উদ্যোগগুলোকে সাধুবাদ জানান সাধারন মানুষ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :