দেশে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনায় রয়েছে রাসেলস ভাইপার নামে বিষধর এক সাপ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে চায়ের দোকান, আড্ডা-আলোচনায় উঠে আসছে এই সাপের প্রসঙ্গ। দেশের বেশ কিছু জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এ সাপ নিয়ে আতঙ্ক। বিশেষ করে পদ্মাতীরবর্তী এলাকায় আতঙ্কটা বেশি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে রাসেলস ভাইপার মেরে ফেলার জন্য প্রচারণাও চালাচ্ছেন কেউ কেউ।
চট্টগ্রামের ভেনম রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছে, সম্প্রতি দেশের ২৭টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে রাসেলস ভাইপার। সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলাগুলোতে। সম্প্রতি ঢাকার কাছে দোহারের চরাঞ্চলেও এ সাপের উপস্থিতি দেখা গেছে।
ভেনম রিসার্চ সেন্টার তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত, ভুটান, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, চীন ও মিয়ানমারেও এই বিষধর সাপের উপস্থিতি রয়েছে। এ সাপ সাধারণত ঘাস, ঝোপ, বন, ম্যানগ্রোভ ও ফসলের ক্ষেতে বাস করে।
ভয়ংকর রাসেলস ভাইপার চেনার উপায় কী?
ভারতীয় উপমহাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোরা নামে পরিচিত এই সাপ ৫.৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। দেখতে অনেকটা অজগরের বাচ্চার মতো। ত্রিভুজাকৃতির চ্যাপ্টা মাথা ঘাড় থেকে বেশ আলাদা। মুখের সামনের অংশটি গোলাকার, ভোঁতা ও উপরের দিকে বাঁকানো।
নাকের ছিদ্র বড় এবং মাথার শীর্ষবিন্দু স্বতন্ত্রভাবে খণ্ডিত আবরণে আচ্ছাদিত। মাথা বেশ বড় এবং রং হলুদ বা সোনালি হলুদ। এর চারপাশে ১০ থেকে ১৫টি বৃত্তাকার আঁশের বেষ্টনী থাকে। দুই জোড়া চোয়ালের ঢালের মধ্যে সামনের জোড়াটি একটু বেশি প্রসারিত। দেহের পেছনে ছোট লেজের দৈর্ঘ্য গোটা দেহের মাত্র ১৪ শতাংশ।
রাসেলস ভাইপারের শরীরের রঙের প্যাটার্নে রয়েছে গভীর হলুদ এবং বাদামি মাটির রং। শরীরের দৈর্ঘ্য বরাবর ৩ সারি গাঢ় বাদামি দাগ। এই দাগগুলোর প্রতিটির চারপাশে রয়েছে একটি করে কালো বলয়।
মাথায় রয়েছে এক জোড়া গাঢ় ছোপ, শরীরের সামনে ও পেছনে সাদা, হলুদ বা গোলাপি রঙের সঙ্গে কালো দাগের অনিয়মিত ও বিক্ষিপ্ত নকশা।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :