বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মত সক্ষমতা সরকারের আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলেই (বড় বাজেট বাস্তবায়ন) সম্ভব হয়েছে। আমাদের ইচ্ছাটা কী? দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। সেজন্যই তো উন্নয়নটা হয়। আমাদের উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে সে লক্ষ্যেই আমরা এই বাজেট প্রণয়ন করেছি এবং উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি। এখানে কমানোর কিছু নেই।
শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে চলমান বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মোটেই বাজেটকে উচ্চাভিলাসী মনে করি না। একটা লক্ষ্য আমরা স্থির করি। শতভাগ কখনো পূরণ হয় না। তারপরও আমাদের সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে যে এখানে আমরা যাবো। সেটা আমরা যেতে পেরেছি। কোথায় ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট, আর কোথায় ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট! আমরা তো এই জায়গায় আসতে পেরেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার যে লক্ষ্য আমরা স্থাপন করেছি, তারই অংশ হিসেবে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বাজেট শতভাগ বাস্তবায়ন হবে বিষয়টা এমন না, তবে আমরা লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম তা প্রমাণ হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেট ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পদক্ষেপ; এ জন্য বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে৷
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ আর আগের অবস্থানে নেই। ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেটের বাংলাদেশে এখন ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়। আমাদের আজকের উন্নতি সম্ভব হয়েছে, কারণ বাংলাদেশ ঋণ নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করে। এসব দিয়েই উন্নয়ন করা হচ্ছে৷ যারা উন্নয়নটা দেখতে পান না, তাদের বিষয়ে বলার কিছু নাই৷
সংসদ নেত্রী এ সময় উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বলেন, এরশাদের সাহেবের সময় উত্তরবঙ্গে যে মঙ্গা হতো, তা কিন্তু এখন আর নেই৷ সেসব এলাকায় মানুষের দুর্দশা আমাদের চোখে দেখা৷ এখন আর সেই অবস্থা নেই৷ এমনকি রংপুরের মানুষ এখন চারবেলা-ও খেতে পায়৷
তিনি হতদরিদ্র শব্দ অদূর ভবিষ্যতে আর থাকবে না উল্লেখ করে বলেন, দারিদ্র্যের হার ৪১ থেকে আমরা ১৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। আর হতদরিদ্র ২৫.৬ থেকে ৫.৬ শতাংশে নামিয়েছি। আশাকরি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কোনো হতদরিদ্র থাকবে না।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :