ঢাকা থেকে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে দেশের ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ হয়। তাই অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বারবার ডিমের দাম বেড়ে যায় বলে জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে ডিমের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী, ডিম ব্যবসায়ী সমিতি ও সংশ্লিষ্ট দফতর সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, রাত ৩টার সময় এসএমএসের মাধ্যমে সারা দেশে ডিমের দাম বাড়িয়ে দেয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আছে অধিদফতরের কাছে। যদি অবিলম্বে এ ধরনের কারসাজি বন্ধ না করা হয়, তবে যে সব প্রতিষ্ঠান এর সঙ্গে জড়িত সবগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। অনেক উপর লেভেল থেকেও এদেরকে ছাড় না দেয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা আছে। যে কোনো মূল্যে এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় হঠাৎ হট্টগোল বেধে যায় উৎপাদনকারী, করপোরেট ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক খামারিদের মাঝে। সরগরম হয়ে ওঠা ব্যবসায়ীদের ডেকে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য দিতে বললে, আটকে যান অনেকে। তাদের দাবি, সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি পিস ডিমে ২০ থেকে ৩০ পয়সা লাভ করেন তারা। আর এসএমএসের দাম নির্ধারণের বিষয়টিও পুরোপুরি অস্বীকার করেন।
ডিম উৎপাদনকারী একজন প্রান্তিক খামারি বলেন, মধ্যস্বত্তভোগীদের দৌরাত্ম্যে তারা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যদিকে তুলনামূলক কম দামে বিক্রির দাবি করেন করপোরেট ব্যবসায়ীরা।
আগামী কয়েকদিনের ভেতর ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৪০ টাকায় নেমে আসবে বলে মনে করেন ভোক্তার মহাপরিচালক।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :