AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ০৫ জুলাই, ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সিন্ডিকেট ও দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১০:৪৭ পিএম, ২ জুলাই, ২০২৪
সিন্ডিকেট ও দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ

বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সরকার বিপদের মধ্যে আছে বলে জাতীয় সংসদে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। তারা বলেন, সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে গরিব মানুষের কাছে নিত্যপণ্যকে সহজলভ্য করা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। কিন্তু সিন্ডিকেট ভাঙা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মতো ক্ষমতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেই।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) বিল–২০২৪’ পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা সিন্ডিকেট ও দ্রব্যমূল্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।  

তারা অভিযোগ করেছেন, সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে গরিব মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যকে সহজলভ্য করা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হলেও তা করার ক্ষমতা তাদের নেই। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

এ বিলে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সচিব পদের নাম পরিবর্তন করে আইন সংশোধন করা হয়েছে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বিলটি পাসের জন্য সংসদে উপস্থাপন করেন। এরপর বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। নতুন এ আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সচিব পদের নাম হবে ‘পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)’।

বিলের ওপর সংশোধন আলোচনায় বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। টিসিবি নামে একটা সংস্থা আছে যারা বাজারে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করে। উপজেলা পর্যায়ে দেখেছি, একটা কার্ড দেওয়া হয়েছে, যার জন্য পাঁচ-ছয়টা পণ্য কিনতে হবে। অনেক মানুষ এটা নিতে পারে না। যার যেটা প্রয়োজন নেই সেটাও টিসিবির কাছ থেকে নিতে হবে। এই হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ। এ আইনটি না এনে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কোনো আইন নিয়ে আনতেন, সিন্ডিকেট ভাঙার মতো কোনো আইন নিয়ে আসতেন, তাহলে মনে করতাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভালো কোনো কাজ করছে। বিভিন্ন সময় তারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। যখন তারা বাজারে যান তখন বাজারটা ঠিক থাকে। কিন্তু তারা চলে এলে আবার যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় চলে যায়। দাম দ্বিগুণ বাড়ে। সিন্ডিকেট ভাঙা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মতো ক্ষমতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আছে বলে আমার মনে হয় না।  

তিনি বলেন, ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। কোম্পানিগুলো কোটি কোটি টাকা লাভ করে কোথায় নিয়ে যাবে জানি না। ওষুধ কোম্পানিগুলো শুল্ক ফাঁকি দিয়ে, কম শুল্ক দিয়ে কাঁচামাল নিয়ে আসে। কিন্তু আমাদের দেশে ওষুধের দাম বেশি। ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করা গেলে মানুষ সুচিকিৎসা পেত। আইন করে ক্যানসারের ওষুধের দাম, কিডনি চিকিৎসা কমাবার কথা বলা হচ্ছে; এ কোম্পানিগুলো কি বাইরের? এরা কি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি? এরা আমাদের দেশি মালিক, এদের কি বিবেক নেই? কত শতাংশ লাভ করছে? এরা ১০০ শতাংশ লাভ করে! যারা দোকানে বিক্রি করে ৩০-৪০ শতাংশ কর দেয়। অনেক ওষুধের মধ্যে দাম লেখা থাকে না। সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করবো বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন।

এ সংসদ সদস্য বলেন, মানুষের যে হাহাকার অবস্থা, আওয়ামী লীগের এত উন্নয়ন ও অর্জনের পরেও বাজার নিয়ন্ত্রণ না করায় সরকার বিপদের মধ্যে আছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ বলেন, বিলটিতে জনগণের স্বার্থ নেই। এখানে শুধু শব্দের পরিবর্তন। জনগণের স্বার্থ তখনই থাকতো, যখন ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে ভোগ্যপণ্য, নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ, বাজারে পণ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা, আমদানি ও উৎপাদন সমন্বয় করে মানুষের কাছে সহজে পৌঁছানো এবং সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে গরিব মানুষের কাছে নিত্যপণ্যকে সহজলভ্য করা যেতো।  

তিনি বলেন, এখানে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ট্যারিফ কমিশনের সচিবের পদের নাম পরিবর্তনের, গতকালও আমরা ইউনিয়ন পরিষদে ‘সচিব’ শব্দ বাদ দিয়ে কর্মকর্তা লিখলাম। একটা কাজ করা যায়, সংসদের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পয়সা খরচ না করে একটি প্রশাসনিক আদেশ বলে এই কাজ শেষ করা যায়।

মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পঙ্কজ নাথ বলেন, যেখানে জনগণের স্বার্থ নেই, একটা মাত্র সচিবের পদ থেকে ‘কর্মকর্তা’ শব্দের পরিবর্তন করার জন্য সংসদের সাড়ে তিনশ এমপিকে ডেকে এনে, প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে শব্দ পরিবর্তন করা অর্থের অপচয়।


একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা

Link copied!