শিশুশ্রম নিরসনে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে। বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত শিশুশ্রম নিরসন বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি এ মন্তব্য করেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও অধিকার সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে সকল শিল্পকারখানা রাষ্ট্রীয়করণ করেন, ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-তে যোগ দেন এবং তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আইএলও`র সদস্যপদ লাভ করে। শিশুদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালেই শিশু নীতি প্রণয়ন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জানান।
গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ শিশুশ্রম নির্মূলে অবিশ্বাস্য উন্নতি করেছে উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি বলেন সরকার ইতোমধ্যে আইএলও কনভেনশন ১৩৮ এর আনুষ্ঠানিক অনুসমর্থন করেছে। আইএলও কনভেনশন, ইউএনসিআরসি, শ্রম আইন ২০০৬ সহ আন্তর্জাতিক আইন ও বিধিসমূহের সাথে সামঞ্জস্য রেখে শিশুশ্রম নিরসনে একটি জাতীয় নীতি অনুমোদন করা হয়েছে। ৪৩টি সেক্টরকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করার জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৮৪.৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন (৪র্থ পর্যায়)’ প্রকল্পের মাধ্যমে ০১ (এক) লক্ষ শিশুকে ০৬ (ছয়) মাস উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং ০৪ (চার) মাস মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সবশেষে প্রতিমন্ত্রী সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি শিশুশ্রম নিরসনে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আন্তরিক হবার আহ্বান জানান।
বিভাগীয় কমিশনার মো: সাবিরুল ইসলাম এঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মাহবুব আলম, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: তরিকুল আলম, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: জাহাঙ্গীর হোসেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আবদুর রহিম খান, ঢাকার উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :