বস্ত্রখাতে নগদ প্রণোদনা কমিয়ে দেওয়ায় এ শিল্প মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন-বিটিএমএ। সংগঠনটির দাবি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে টেক্সটাইল খাতে উৎপাদন কমেছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। এ অবস্থায় নগদ প্রণোদনা কমানো ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ ছাড়া কিছুই নয়।
শনিবার (৬ শনিবার) সকালে রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা।
গত কয়েক মাস ধরে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে শিল্পখাতে উৎপাদন কমেছে কয়েক গুণ। এ কারণে ট্যাক্সটাইলে উৎপাদন কমেছে অর্ধেক। অন্যদিকে চলতি অর্থ বছরে দেশীয় বস্ত্রখাতে ৩ শতাংশ নগদ প্রণোদনা কমিয়ে এক দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মলনে বিটিএমএ–এর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘বৈশ্বিক সংকট ও নানাবিধ সমস্যার কারণে মারাত্মক ঝুঁকিতে বস্ত্রশিল্প। এমনিতে ঋণে অতিরিক্ত সুদ, ডলার সংকট, এলসি জটিলতাসহ নানা সমস্যায় আছে বস্ত্র শিল্পে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক দিকে আমাদের বিদ্যুৎ নাই, গ্যাস নাই, ব্যাংকে পর্যাপ্ত ফান্ড নাই। আবার অন্যদিকে আমি আমার পুরোপোরি উৎপাদনে যেতে পারছি না। এছাড়া এখন সব থেকে বড় সমস্যা হলো আগে আমার ১০০ কোটি টাকা লিমিট থাকলে এখন সেটা ৬০ কোটিতে নেমে এসেছে। এখন ৬০ শতাংশ এলসি করার পর বাকি ৪০ শতাংশ যখন আমার লিমিট না বাড়ায় তখন আমার সাপলাই বা উৎপাদনটা আর থাকে না। এমন হলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো।’
অনুষ্ঠানে বিটিএমএ এর নেতারা আরও বলেন, এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে নগদ প্রনোদনা ও নীতি সহায়তা প্রয়োজন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের নামে প্রণোদনা কমানো এ শিল্পের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।
এদিকে চোরাইপথে কাপড়ের অনুপ্রবেশ বন্ধ করার পাশাপাশি বস্ত্রশিল্পের উন্নয়নে সম্বনিত প্রদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদও দেন বস্ত্র কারখানার মালিকরা।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :