AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের শক্ত অবস্থান নেয়ার আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৮:২৬ পিএম, ৭ জুলাই, ২০২৪
অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের শক্ত অবস্থান নেয়ার আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর

মিথ্যাচার ও অপপ্রচারকারীদের বিপক্ষে সাংবাদিকদের শক্ত অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, সাংবাদিক সমাজ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সবাই অসত্যগুলোর প্রতিবাদ করুন। মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। সমালোচনা করুন, ভুল-ত্রুটি থাকবে। আমাদের ভুল ধরিয়ে দিন, আমরা সংশোধন করবো। কিন্তু ডাহা মিথ্যা বলে জনগণকে ভুল পথে পরিচালিত করবেন না।

রোববার (৭ জুলাই) রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডে তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের (তৃতীয় পর্যায়) চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

দেশের সকল পর্যায়ের সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ দেশে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কিছু কিছু গোষ্ঠী অপতথ্য ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধিতা থাকতে পারে, ভিন্ন মত থাকতে পারে। কিন্তু অসত্য কথা বলে, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করলে সাংবাদিকদেরও কিছু দায়িত্ব পালন করার আছে। আপনাদের কাছে এখানে কিছু অবদান, আমরাও চাই।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে সই করা সমঝোতা স্মারকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমঝোতা স্মারকের বিষয়গুলো নিয়ে যেভাবে মিথ্যাচার এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করা শুরু হলো, এসব জায়গায় সাংবাদিক সমাজ এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত যারা, তাদের সামগ্রিকভাবে দেশের এবং মানুষের স্বার্থে সত্যের পক্ষে অবদান রাখতে হবে। অপপ্রচারকারীরা বলছে বাংলাদেশের বুক চিরে ভারতে ট্রেন চলে যাবে, এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। এখান দিয়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ নিয়ে চলে যাবে, বাংলাদেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবে, যেটি একটি ডাহা মিথ্যা কথা। এটিকে প্রতিরোধ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমঝোতা স্মারকে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, একটা রিজিওনাল কানেক্টিভিটি আমরা করছি। বাংলাদেশের সঙ্গে নেপাল ও ভুটানের ৫০ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা আছে, রফতানি করি আমরা। বাংলাদেশের পণ্য ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল-ভুটানে প্রবেশ করে। আমরা যদি সরাসরি ট্রেন লাইন করতে পারি, তাহলে আমাদের ব্যবসা ও রফতানি প্রসার ঘটবে। সমঝোতা স্মারকে সেটিও আমরা নিয়ে এসেছি যে, নেপাল ও ভুটানে আমরা ভারতের মধ্য দিয়ে যাবো।

তিনি আরও বলেন, ভারতের গ্রিড লাইন ব্যবহার করে, আমরা নেপাল থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে আসছি। এই মুহূর্তে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির সমঝোতা হলেও নেপালে ৭২ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে, যেটা এখন তারা চাহিদা নেই বলে উৎপাদন করে না। কিন্তু আমাদের চাহিদা আছে। যদি নেপাল থেকে ক্লিন এনার্জি আমদানি করতে পারি, তাহলে আমরা জীবাশ্ম জালানির ব্যবহার কমিয়ে ক্লিন এনার্জি আনতে পারবো। যেটা বাংলাদেশ, ভারত, নেপালপসহ গোটা পৃথিবীর জন্য ভালো, সেটা কীভাবে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে হয়?

দুস্থ সাংবাদিকদের অনুদান প্রদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ট্রাস্টের মাধ্যমে দল-মত নির্বিশেষে অসহায় ও প্রাপ্ত সাংবাদিকরাই এ অনুদান পেয়ে থাকেন। স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৯ থেকে ৩৫ বছরে গণমাধ্যম বহুগুণে বিস্তৃত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কারণের তা সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দুস্থ সাংবাদিকদের অনুদান প্রদান এটাই প্রমাণ করে সরকার গণমাধ্যমবান্ধব। আমি মনে করি, শুধু স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের নয়, মিথ্যা বলারও স্বাধীনতা গণমাধ্যমের আছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম সেটিই করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা

Link copied!