সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ইস্যুতে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী হাসনাত বলেছেন, আমাদের দাবি মানতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই। সন্ধ্যা ৭টায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে।
বুধবার (১০ জুলাই) সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলেন আদালত। আগামী ৭ আগস্ট এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
তবে আদালতের এই আদেশে আন্দোলনকারীরা সন্তুষ্ট নন। আদালতের সিদ্ধান্ত আসার পরেই শিক্ষার্থীরা রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করে।
আন্দোলনের সমন্বয়কারী হাসনাত বলেন, ‘কানাকে হাইকোর্ট দেখানোর রায় দেয়া হয়েছে! আমরা অসুস্থ হচ্ছি কিন্তু দমে যাইনি। কমিশন গঠন করে কোটা পদ্ধতি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। সন্ধ্যা ৭টায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক চশমা দিয়ে আমাদের দেখবেন না। আমাদের আন্দোলন দিনের আলোর মতো সত্য। কোনো আমলা-মামলা আমাদের ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। আমাদের দাবি মানতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই।’
আদালতের আদেশের পর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, কমিশন গঠন করে কোটা পদ্ধতির সংস্কার ও স্থায়ী সমাধান হওয়ার আগে পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
তারা আরও বলেন, ‘হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। আমরা ২০২৪ সালে এসে শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় নয়, সকল চাকরি থেকে কোটা তুলে নেয়ার এক দফা দাবি আমাদের। আমাদের দাবি হাইকোর্টের কাছে নয়, সংসদের কাছে। সংসদে আইন পাশ করে সকল চাকরি থেকে কোটা তুলে নিতে হবে। আইন অনুসারে ৫ শতাংশ কোটা রেখে সব তুলে নিতে হবে। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই। স্থায়ী সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না, আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :