৭৭ বছরের নিয়ম ভেঙে ভয়ংকর অস্ত্র মোতায়েনের পথে হাঁটলো দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার ড্রোন ভূপাতিত করতেই সিউল ভয়ংকর ধরনের লেজার অস্ত্র মোতায়েন করতে যাচ্ছে। প্রথম দেশ হিসেবে সেনাবাহিনীতে এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির অস্ত্র সংগ্রহ সংস্থা বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
`স্টার ওয়ার্স প্রজেক্ট` এর আওতায় এই অস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রশাসন (ডিএপিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক বাহিনী হেনহুয়া এরোস্পেস সংস্থার সহায়তার ড্রোন বিধ্বংসী লেজার অস্ত্র তৈরি করেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই অস্ত্রটি বেশ কার্যকর এবং তুলনামূলক সাশ্রয়ী। প্রতিবার লেজার আক্রমণে খরচ হবে মাত্র দেড় ডলার। এই লেজারটি নীরব এবং অদৃশ্য।
লেজার অস্ত্রগুলো ১০ থেকে ২০ সেকেন্ডের মধ্যে আলোর রশ্মির মাধ্যমে ড্রোনের ইঞ্জিন বা অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পুড়িয়ে উড়ন্ত ড্রোনকে ধ্বংস করবে বলেও জানানো হয়েছে। ১৯৫০-৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শান্তি চুক্তির মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। চুক্তিতে নিরস্ত্রীকরণসহ ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে সম্মত হয় উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া। তবে এমন লেজার অস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে সেই চুক্তি ভঙ্গ করতে যাচ্ছে সিউল।
একুশে সংবাদ/বা.প্র/হা.কা
আপনার মতামত লিখুন :