আজ ১০ মহররম বুধবার, পবিত্র আশুরা। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় নানা-কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারাদেশে পালিত হচ্ছে দিনটি। বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে মহররমের ১০ তারিখ ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
পবিত্র কোরআন মাজিদ ও হাদিস শরিফে এ মাসের অত্যন্ত ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। কোরআনের ভাষায় এটি ‘আরবাআতুন হুরুম’-অর্থাৎ চার সম্মানিত মাসের অন্যতম। এ মাসে রোজা রাখার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত এক হাদিসে নবি কারিম (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের পর আল্লাহর মাস মুহাররমের রোজা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ।’
এদিন ঐতিহাসিক কারবালার ময়দানে হৃদয়বিদারক ঘটনা ছাড়াও বিভিন্ন ঘটনার কারণে দিনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। রোজাসহ বিভিন্ন নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে মুসলিমরা দিনটি উদযাপন করে থাকেন।
আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, ইসলাম শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম। পবিত্র আশুরার এ দিনে সাম্য, ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মুসলিম উম্মার ঐক্য, সংহতি ও অগ্রগতি কামনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, শান্তির ধর্ম ইসলাম সবসময় সম্প্রীতির বাণী প্রচার করে। মহানবি (সা.) তার বিদায় হজের ভাষণে বলেছিলেন, ‘হে লোক সকল, আল্লাহ বলেছেন-হে মানবজাতি, আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পারো, নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সেই সৰ্বাধিক সম্মানিত যে সর্বাধিক পরহেজগার।’
আশুরা উপলক্ষে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। সোমবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর লালবাগে হোসনী দালান ইমামবাড়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেন তিনি।
হাবিবুর রহমান জানান, ইমামবাড়ায় ইন্সট্রুমেন্টাল চেকিং ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং সম্পন্ন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রবেশকারীদের আর্চওয়ে ও অন্যান্য সুইপিংয়ের পর ভেতরে যেতে দেওয়া হবে। আশপাশের উঁচু ভবন থেকেও ইমামবাড়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/আ.টি/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :