কোটা আন্দোলনকারিদের ভিতরে ঢুকে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের পুরো ভবনটাই এখন পরিত্যক্ত ও ব্যবহার অনুপযোগী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল।
তিনি বলেন, এখানে সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে গাড়ির ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশনসহ বিআরটিএর দৈনন্দিন সেবাগুলো দেয়া যাচ্ছে না। এটি কবে চালু হবে, সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বনানী এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বিআরটিএ ভবনের পাশে একটি অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের গৌতম চন্দ্র পাল এসব তথ্য জানান।
চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, ভবনের এক থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে হামলাকারী ব্যক্তিরা। হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পুরো ভবনের বিদ্যুৎ, সার্ভার ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা। হামলাকারী ব্যক্তিরা প্রথমে ভবনের প্রধান ফটক ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে। তারা নিচতলার ‘হেল্প ডেস্ক’, বঙ্গবন্ধু কর্নার ও সিসিটিভি ক্যামেরার সার্ভার সিস্টেমে অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বেজমেন্টে থাকা সাতটি গাড়ি ও পাঁচটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
‘কার্যালয়ের অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র, বিশেষ করে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রিন্টার, ফটোকপি মেশিন ও আসবাব লুট করে নিয়ে গেছে হামলাকারী ব্যক্তিরা। এ ছাড়া ভবনের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, পানি সরবরাহব্যবস্থা ও অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ তিনি আরও জানান।
এসময় বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের জন্য কমিটি করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের পর বোঝা যাবে মেরামতের জন্য কোন পদ্ধতিতে তারা অগ্রসর হবেন। মেরামতের পর সার্ভার সচল হলে বোঝা যাবে, সেবা চালু করতে কত দিন লাগবে। এ হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে বনানী থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :