নরসিংদী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া আরও ১২২ বন্দী আত্মসমর্পণ করেছেন। এ নিয়ে গত ৪ দিনে ৮২৬ বন্দীর মধ্যে ৪৬৮ জন বন্দী আইনের আওতায় এলেন। তাদের মধ্যে ৪৩৯ জন জেলা আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে ও বাকিরা বিভিন্ন থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন বা থানা-পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আদালতে উপস্থিত হয়ে ১২২ বন্দীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম।
তিনি জানান, কারাগার থেকে সব বন্দী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার পরই অনেকে আত্মসমর্পণের চেষ্টা করছিলেন। কারণ, অনেক বন্দীই তখন পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন এসব বন্দীর স্বজনেরা। তাঁদের আইনজীবী সমিতিতে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার ৫ জন, মঙ্গলবার ১৩৮ জন, বুধবার ১৫৫ জন ও আজ ১২২ জন বন্দী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। নতুন করে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি; পরবর্তী নির্দেশ পেলে আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কারাগার কর্তৃপক্ষের দুটি মামলাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনায় করা ১০ মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এসব মামলায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১২৯। তাদের আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার হাজার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে ভেতরে ঢুকে সেলের তালা ভেঙে দিলে নয় ‘জঙ্গি’সহ মোট ৮২৬ কয়েদি পালিয়ে যায়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :