উত্তপ্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিলো যাত্রাবাড়ি কয়েকদিন আগের সহিংসতায়। তখন রাজধানীর সেই অংশে যোগাযোগ থাকে বিচ্ছিন্ন, পুড়িয়ে দেয়া হয় মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজা।
পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে, এখন সে এলাকায় শুরু হয়েছে যান চলাচল। তবে টোল প্লাজা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কার্যক্রমে আগের সেই গতি নেই। এখন সেখানে কাজ চলছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। নেই সফটওয়্যার, নেই বিদ্যুৎ। একজনের কাজ করতে হচ্ছে দুজনকে। তাও লাগছে বাড়তি সময়।
টোল প্লাজায় কর্মরত একজন কর্মী জানান, সফটওয়্যার না থাকায় ম্যানুয়ালি কাজ করতে হচ্ছে। হিসাবটা ঠিক মতো করতে হয়। আগের থেকে এখন কাজ করাটা একটু কঠিন।
আরেকজন কর্মী বলেছেন, আগুন দেয়ার আগে, আরএফ আইডি ও কিউআর কোড ছিলো। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সার্ভিসগুলো দেয়া হতো। ফলে যানবাহন খুব দ্রুত যেতে আসতে পারতো। তবে আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে পুরো সিস্টেমই বিপর্যস্ত। ইন্টারনেট আসার পর মোবাইল টিকেটর মাধ্যমে টোল কালেকশন করছি।
ফরাসী প্রযুক্তির যন্ত্রাংশ ব্যবহার হতো টোল প্লাজায়। ফ্লাইওভার কর্তৃপক্ষ জানান, কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগবে টোল প্লাজাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে। এরই মধ্যে যোগাযোগ করেছে যন্ত্র সরবরাহকারী ফরাসী প্রতিষ্ঠানের সাথে।
মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের হেড অফ ট্রাফিক মোহাম্মদ নাইফ উদ্দিন খান বলেন, সিস্টেমটা পুরোটাই ফ্রান্সের। ইতোমধ্যে সেই কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ-ও তাদেরকে জানানো হয়েছে। সবকিছু ঠিক করতে অন্তত ৬ মাস লেগে যাবে।
একুশে সংবাদ/য.টি/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :