AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পরিস্থিতি ভীতিকর হওয়ায় কর্মীরা ডাটা সেন্টার শাটডাউনে বাধ্য হন: পলক


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০১:৪৮ পিএম, ২৮ জুলাই, ২০২৪
পরিস্থিতি ভীতিকর হওয়ায় কর্মীরা ডাটা সেন্টার শাটডাউনে বাধ্য হন: পলক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ভীতিকর পরিস্থিতিতে রাজধানীর মহাখালীর তিনটি ডাটা সেন্টার শাটডাউন করতে সেখানকার কর্মীরা বাধ্য হন।

রোববার (২৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

পলক বলেন, মহাখালীতে তিনটি ডাটা সেন্টার রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে একটিতে (ত্রাণ পুনর্বাসন কেন্দ্রের নিচতলায়) সন্ত্রাসীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। চারদিকে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ওই এলাকায় থাকা অন্য দুটি ডাটা সেন্টারের কর্মীরাও শাটডাউন করতে বাধ্য হন।

তিনি বলেন, গত ১৭ ও ১৮ জুলাই নিরাপত্তাজনিত কারণে কিছু কিছু এলাকায় আমরা সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু ১৮ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দেশে তাণ্ডব চালানো হয়। এসময় মহাখালীর ত্রাণ পুনর্বাসন কেন্দ্রের নিচতলায় থাকা একটি ডাটা সেন্টার সম্পূর্ণরূপে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য-উপাত্ত ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে, সেখানে বেশ কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। যারা এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এরই মধ্যে তথ্য সংগ্রহও করেছে।

তিনি বলেন, ওই এলাকায় যে তিনটি ডাটা সেন্টার আছে, সেখানে সোর্স অব ইন্টারনেট ও পাওয়ার অর্থাৎ, ইলেকট্রিসিটির ক্যাবলগুলোও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তখন সেসব ডাটা সেন্টারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা কাজ করছিলেন, তারা ভীতিকর পরিস্থিতিতে ডাটা সেন্টার শাটডাউন করতে বাধ্য হন।

দেশজুড়ে ক্যাবলে অগ্নিসংযোগ ও কেটে ফেলা হয়েছে দাবি করে পলক বলেন, সারা দেশে শত শত কিলোমিটার ফাইবার ক্যাবল; যেগুলো মাটির ওপরে ছিল সেগুলো সন্ত্রাসীরা পুড়িয়ে দিয়েছে, কেটে ফেলেছে। পাশাপাশি কক্সবাজার-চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আনা যে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল ছিল; সেগুলো সড়ক ও সেতু মেরামতের কারণে ওপর দিয়ে টানা হয়েছিল, সেগুলোও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার দুদিন পর আমরা চিহ্নিত করতে পারি, কোথায় কোথায় এমন ক্যাবল বিচ্ছিন্নের ঘটনা ঘটেছে। সেটা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে মেরামত করা হয়েছে।

কুয়াকাটার সাবমেরিন ক্যাবল সচল ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল সচল ছিল। সেটা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব আমরা এয়ারপোর্ট, কূটনৈতিকপাড়া, বাণিজ্যিক এলাকা, গণমাধ্যম, হাসপাতাল, ব্যাংকসহ অতি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ইন্টারনেট দিয়েছি। তবে হ্যাঁ, তার মধ্যেও তিনদিন বিশ্বের সঙ্গে আমাদের ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল।

 

একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা

Link copied!