আন্দোলন-কারফিউর জেরে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার পদ্মা সেতুতে গড়ে প্রতিদিন টোল আদায় কমেছে দুই কোটি টাকা। এদিকে, বঙ্গবন্ধু সেতুতে এক সপ্তাহে লোকসান হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। তবে কারফিউ শিথিল হওয়ায় ২৫ জুলাই থেকে যানবাহন পারাপার বাড়তে থাকায়, শিগগিরই রাজস্ব বাড়ার আশা করছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
চলমান পরিস্থিতিতে পদ্মা সেতুতে প্রতিদিন গড়ে মাত্র তিন হাজার যানবাহন পারাপার হচ্ছে। টোল আদায় হচ্ছে প্রায় ৪০ থেকে ৪৬ লাখ টাকা। অথচ স্বাভাবিক সময়ে এই সেতুতে প্রতিদিন গড়ে ১৯ হাজারের বেশি যানবাহন পারাপার হয়। স্বাভাবিক সময়ে টোল আদায় হতো ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি। বর্তমানে চলাচল কমায় প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
১৮ জুলাই আন্দোলনকারীরা পদ্মা সেতুতে ব্যারিকেড দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে, পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক নজরদারি থাকায়, যান চলাচলে ঝুঁকি দেখছে না কর্তৃপক্ষ।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, আন্দোলন-কারফিউর সময় প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার গাড়ি চলাচল করেছে। এসময় এই যানবাহন থেকে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৬ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে। অথচ স্বাভাবিক সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৯ হাজার ১৬৮টি যানবাহন চলাচল করে। হিসাব অনুযায়ী গড়ে প্রতিদিন টোল আদায় হতো দুই কোটি ৩২ লাখ টাকার মতো। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে রাজস্ব কমেছে দুই কোটি টাকা।
সেতুর নিরাপত্তায় বিজিবির পাশাপাশি সার্বক্ষণিকভাবে সেনা টহল রয়েছে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে নৌপথেও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পদ্ম সেতুর টোল প্লাজায় তেমন গাড়ির চাপ নেই। প্রয়োজন ছাড়া আসলে তেমন গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি।
এদিকে, বিক্ষোভ ও কারফিউর জেরে বঙ্গবন্ধু সেতুতে গেলো ১৮ জুলাই থেকে এক সপ্তাহে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। কারফিউ শিথিলের পর ২৫ জুলাই থেকে স্বাভাবিক হয় পারাপার। বঙ্গবন্ধু সেতুতে প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা টোল আদায় হয়।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :