মেট্রো রেলের শূন্যতায় । মেট্রো রেল বন্ধ থাকায় বেড়েছে ভোগান্তি। প্রতিদিন বাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে অনেক যাত্রীকে। তাই অফিসগামী মানুষগুলোর হাপিত্যেশ চরমে। মেট্রো রেলে যাতায়াতকারীরা বলছেন, মেট্রো চলাচলে যাতায়াতে ফিরেছিলো স্বস্তি। মনে হয়েছিল ঢাকার ভয়ংকর যানজটের মধ্যে কিছুদিন স্বর্গে ছিলাম।
মেট্রো রেলে প্রতিদিন অফিস করতেন মো.সিরাজুল ইসলাম। থাকেন রাজধানীর পল্লবীতে। চাকরি করেন মতিঝিলে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। তবে মেট্রো রেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তির কথা জানান তিনি।
আহসান আলম নামে আরেকজন বলেন, ‘আজ খালি মেট্রো রেল বন্ধ দেখে ব্যাটারা এত ভাব নিতে পারতেছে। মেট্রো চালু থাকলে ১৫০ টাকায় চলে যেতেন। যদিও তখন তার (মোটরসাইকেলচালক) সঙ্গে আমার কথা হতো না। আমি তো মেট্রোতেই চলে যেতাম।’
গত মাসের (জুন) হিসাব পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিদিন গড়ে তিন লাখ ৫০ হাজার মানুষ মেট্রো রেলে নিয়মিত ভ্রমণ করত। তাদের এখন বিকল্প পরিবহন ব্যবহার করতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই দুর্বৃত্তদের হামলায় মেট্রো রেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ নম্বরে অবস্থিত স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর রেল চলাচল বন্ধ করে দেয় মেট্রো পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত শনিবার বলেন, মেট্রো রেল বন্ধ থাকায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। ৩০ মিনিটের পথ দুই ঘণ্টায়ও যেতে পারছে না। কবে নাগাদ চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। মেট্রো রেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন ধ্বংসপ্রাপ্ত। যন্ত্রপাতি এনে এক বছরেও এটা সচল করা সম্ভব হবে না।
এদিকে মেট্রো রেল বন্ধ থাকায় রাজধানীতে ফের বেড়েছে অসহনীয় যানজট। দীর্ঘ যানজটে মানুষের ভোগান্তি ভাবনার চেয়েও বাস্তবে বেশি হচ্ছে। মেট্রো রেল বন্ধ থাকায় রেলের যাত্রীদের বাসে যেতে হচ্ছে। এতে পরিবহন সংকট তৈরি হচ্ছে, বিশেষ করে অফিসের সময় যাত্রীদের বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, মেট্রো রেল কবে চালু হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ট্রেন চালুর বিষয়ে সেই কমিটি সুপারিশমূলক পরামর্শ দেবে। কমিটির মতামতের ওপর ভিত্তি করে ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেটি কবে হতে পারে সেই ধারণাও এখন দেওয়া সম্ভব না।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :