AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
কোটা আন্দোলন

‘চুপ’ থাকা আ.লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭:৪১ পিএম, ২৯ জুলাই, ২০২৪
‘চুপ’ থাকা আ.লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

সাম্প্রতিক সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের যেসব নেতা ও জনপ্রতিনিধি রাজপথে ছিলেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তালিকা করে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির নীতি নির্ধারকেরা। এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৬টি ইউনিট কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

সেসময় সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, মাতুয়াইল এলাকায়। যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত এলাকা টানা পাঁচদিন ছিল দুর্বৃত্তদের দখলে। অথচ ১৫ বছরে এ এলাকায় বিরোধীদের রাজপথে দাঁড়াতেই দেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে এবার কেন দলটি কোনো অবস্থানই নিতে পারেনি? সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে।

মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শান্তনূর খান শান্ত বলেন, ‘দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণে যার যার অবস্থান থেকে চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সমন্বিতভাবে চেষ্টা করা হয়নি।’

ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজল বলেন, ‘আমাকে বলা হয়, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ মুন্নার সঙ্গে যোগাযোগ করতে। যিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। আমি তাঁকে দশবারের বেশি কল দিয়েও পাইনি। তিনি আমার কল তো ধরেননি ,আবার ফিরতি কলও করেননি।’

আন্দোলন ঠেকাতে ব্যর্থতায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের দায় দিচ্ছে কেন্দ্র। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দলের মধ্যে বিরোধ বেড়েছে। ত্যাগীদের বাদ দিয়ে অনুপ্রবেশকারী নিয়ে করা হয়েছে ইউনিট কমিটি। পাঁচ বছরেও হয়নি ওয়ার্ড ও থানা কমিটি।

এ নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি বলেন, ‘কমিটি তো আর একা করা যায় না। অন্তত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া থাকতে হয়। এটারও কিছুটা ব্যর্থতা আমাদের আছে। তাদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব আছে।’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ‘অনেক ইউনিট কাজ করেনি। যার কারণে আমরা কয়েকটা ইউনিট ভেঙ্গে দিয়েছি। আমরা মনেকরি এখন সবাই সতর্ক হবে।’

তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। নীতি নির্ধারকরা বলছেন, সংকট থেকে শিক্ষা নেবে দল।

দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘কারা বের হলো, কারা বের হলো না, কারা কোটা আন্দোলনের পর ঢাকা ছেড়ে দিলো এগুলো দলকে কঠোরভাবে খুঁজে বের করতে হবে।’

সাংগঠনিক শাস্তি ছাড়াও অভিযুক্তরা সিটি নির্বাচনে দলের সমর্থন পাবেন না বলে জানান নেতারা।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!