স্বপ্নের মেট্রোরেল দ্রুতগতির উড়াল পথ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা। দুর্বৃত্তদের হামলার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত দুটি স্টেশন বাদ দিয়ে এটি কবে নাগাদ চালু করা যাবে, সে হিসেব মেলানো যাচ্ছে না এখনও। অন্যদিকে, পুড়ে যাওয়া দুটি টোলপ্লাজা বাদ দিয়ে কীভাবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু করা যায়, তা জানতেও অপেক্ষা করতে হবে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত।
ব্যক্তির অনুপস্থিতি যেমন তার গুরুত্ব বুঝাতে সাহায্য করে, ঠিক তেমনি অবকাঠামোও। বর্তমান সময়ে যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মেট্রোরেল। প্রায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকায় বৈদ্যুতিক এ বাহনটির গুরুত্ব এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে নগরবাসী। একদল দুর্বৃত্তের ক্ষোভের বলি স্বাধীনতাত্তোর যোগাযোগ খাতে দেশের অন্যতম বড় এ অর্জন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলাকালীন দুর্বৃত্তদের টার্গেটে পড়ে মেট্রোরেল। হামলা আর ভাংচুরে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় মিরপুর-১০ নম্বর আর কাজীপাড়া স্টেশন। টিকিট ভেন্ডিং মেশিন, স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিনসহ গুঁড়িয়ে দেয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ সবকিছুই। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার স্টেশন দুটি পুরোপুরি চালু হতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে আগেই জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুটি স্টেশন বন্ধ রেখে চালানো যায় না মেট্রোরেল?
ডিএমটিসিএল প্রকল্প পরিচালক আফতাব উদ্দিন তালুকদার বলছেন, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে কমিটির প্রতিবেদন দেয়ার কথা। তার ওপর ভিত্তি করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। দুর্ঘটনা এড়াতে চালুর আগে কয়েক দফা ট্রায়াল রান হবে বলেও জানান তিনি।
মেট্রোরেলের পাশাপাশি নাশকতাকারীদের হামলার শিকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও বন্ধ প্রায় দুই সপ্তাহ। দ্রুতগতির এ উড়াল পথের বনানী ও মহাখালী টোলপ্লাজা দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে দিলে বন্ধ করা হয় যান চলাচল। সুনির্দিষ্ট সময়সীমা জানাতে না পারলেও দ্রুতই উড়াল পথটি চালুর চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, একই সঙ্গে বড় বড় দুটি উড়ালপথ বন্ধ হওয়ার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে সড়ক পথে। দীর্ঘ যানজটে নগরবাসীর ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। আর তাই মেট্রোরেলের দুটি স্টেশন বাদ দিয়ে চালু এবং মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের মতো ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদাল করে হলেও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেয়ার দাবি নগরবাসীর।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :