চালের দাম নিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর কথা শুনছেন না ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে তিন টাকা পর্যন্ত। এর জন্য কোটা আন্দোলন ঘিরে অচলাবস্থায় পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়াকে দুষছেন তারা। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, নিত্যপণ্য পরিবহনে দূরত্ব অনুযায়ী ট্রাকের ভাড়া বেঁধে দেয়া হবে। ঢাকায় চালের সংকট বা মূল্য বৃদ্ধির কোনো কারণ ঘটবে না।
সংকট নেই চালের, বাড়বে না দামও। গত ২৩ জুলাই মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন শেষে এমন কথা জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তবে তার সেই কথা রাখেনি ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে তিন টাকা পর্যন্ত। বাড়তি দামের পেছনে তাই কোটা আন্দোলন ঘিরে অচলাবস্থায় পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়াকে দুষলেন ব্যবসায়ীরা। যাতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।
ব্যবসায়ীরা বলেন, রাস্তায় গাড়ি আসতে পারে না। রাজনৈতিক অবস্থার কারণে চালের প্রতি বস্তায় ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। শুধু চাল নয় গেল কয়েকদিনে দাম বেড়েছে অনেক নিত্যপণ্যের যার। বেশি ভোগাচ্ছে আলু ও পেঁয়াজের দর। যাতে নাভিশ্বাস সাধারন মানুষের।
নিত্যপণ্যের কেনো এই বাড়তি দাম? সরকারের উদ্যোগই বা কী? সকালে টিসিবর পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, চলমান অস্থিরতায় পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে পণ্যের দামে। নিয়ন্ত্রণে তাই দূরত্ব অনুযায়ী ট্রাক ভাড়া বেঁধে দেয়ার কথা জানান তিনি। সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণাও দিলেন তিনি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, যেই ট্রাক ভাড়া ছিল দশ হাজার টাকা সেটি ২০ হাজার টাকা হয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি বাসে যেমন দূরত্বভেদে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সেভাবে ট্রাক ভাড়া যদি মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে নির্ধারণ করা যায় তাহলে এসব জিনিষপত্রের দামও কমে আসবে।
পরিদর্শনকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আবারো দাবি করেন চালের কোনো সংকট নেই। নিত্যপ্যণ কেউ বাড়তি দামে বিক্রি করলে অভিযোগ দায়ের করতে বললেন ভোক্তা অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বরে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :