অশুভ শক্তির কবল থেকে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে একতাবদ্ধ হওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষকরা। ৩ আগস্ট রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক এবং কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এ কথা জানান তারা।
রাত ৮টার পর গণভবনে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক এবং কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সকালে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ঠেকাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গণভবনে তার সঙ্গে বসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘গণভবনের দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে আমি বসতে চাই, তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না।’
সরকার প্রধান আটক সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচারের আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ঘটে যাওয়া প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, আন্দোলনকারীরা চাইলে আমি এখনও আলোচনায় রাজি। তারা যে কোনো সময় (গণভবনে) আসতে পারে। দরকার হলে তারা তাদের অভিভাবকদের নিয়েও আসতে পারে।’
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রস্তাবিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিল করার ঘোষণাও দেন প্রধানমন্ত্রী।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :