অন্তর্বতীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য দেশের পথে থাকা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উঠবেন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়। প্রস্তুত করা হচ্ছে যমুনাকে।
ছাত্র জনতার বিপুল গণ আন্দোলনে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের সরকারের পতনের পর সংবিধানে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা না থাকলেও নতুন নির্বাচনের প্রয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছিল আন্দোলনকারী সমন্বয়করা। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাতে সম্মতি দেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, এ সরকারের উপদেষ্টা হতে পারে ১৫ জনের মত। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বঙ্গভবনে তাদের শপথ হবে।
অলিম্পিকের আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দিতে ড. ইউনূস গিয়েছিলেন প্যারিসে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিতে বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে প্যারিস থেকে দেশের পথে রওনা হয়েছেন ড. ইউনূস। আজ দুপুরে বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ অন্য দুইবাহিনীর প্রধান ।
বিমানবন্দর থেকে ড. ইউনূস প্রথমে যাবেন মিরপুরের ইউনূস সেন্টারে। সামরিক প্রোটোকলে নিরাপত্তা দিয়ে তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে তাকে সংবর্ধনা জানাবেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
দেশের পথে রওনা দেওয়ার আগে জাতির উদ্দেশে ইউনূস বলেন, “আসুন, আমরা আমাদের এই নতুন বিজয়ের সর্বোত্তম সদ্ব্যব্যবহার নিশ্চিত করি। আমাদের কোনো প্রকার ভুলের কারণে আমাদের এই বিজয় যেন হাতছাড়া হয়ে না যায়।”
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান তাদের দায়িত্বের দিনগুলো রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাতেই ছিলেন।
২০০৮ সালে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদও এ ভবনেই থেকেছেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :