হট্টগোলের কারণে মাঝপথেই ভেস্তে গেছে ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা। শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আয়োজন করা হয়েছিল এ সভার।
জানা গেছে, মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের। তবে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। মূলত এ নিয়েই ক্ষুব্ধ হন আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম ছাড়াও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন র্যাবের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান ও ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান।
সভায় আইজিপি ময়নুল ইসলাম বলেন, পুলিশের আহত সদস্যদের আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। তাদের জন্য প্রয়োজনে বিদেশ থেকে পরামর্শক আনা হবে। পুলিশের নিহত সদস্যদের পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হবে।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে নতুন আইজিপি আরও বলেন, ‘যে ১১ দফা দিয়েছেন, সেগুলো নিয়ে রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুলিশ সদস্যদের প্রতিনিধিদল নিয়ে বসা হবে। কোনো জুনিয়র পুলিশ সদস্য সিনিয়র পুলিশ সদস্যের কাছে হয়রানির শিকার হবে না।’
তবে সঙ্গে সঙ্গেই আইজিপির এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা। তারা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে রাজারবাগে আনতে হবে। আলোচনা হবে এখানেই।
আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা দাবি করেন, পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নে আইজিপি যে ৮ সদস্যের কমিটি করেছেন, সেই কমিটির পাশাপাশি কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের আরেকটি কমিটি করতে হবে। তাদের সমস্যার সমাধানে এ কমিটি কাজ করবে। সভায় একজন কনস্টেবল বলেন, ৫ আগস্ট কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার যত পুলিশ সদস্য মারা গেছেন, গত ৫০ বছরে পুলিশের অফিসার পদমর্যাদার এত সদস্য মারা যাননি।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :