বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সচিবালয়ের তিনটি গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন গ্রাম পুলিশসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। ১৯ আগস্ট দুপুর থেকে তারা অবস্থান নেন। এসময় ভেতর থেকে তিনটি গেটই বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গ্রাম পুলিশ ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে নারীদের জন্য আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ প্রকল্প (আইজিএ), মৎস্য অধিদপ্তরের ইউনিয়ন কর্মচারী কল্যাণ পরিষদে কর্মরতরাও বিক্ষোভ করছেন। তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গেটে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে গেট বন্ধ করে দেওয়ায় অফিস শেষে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেকে বের হতে পারছেন না। একটি গেট খোলা থাকলেও সেখানে তৈরি হয়েছে জটলা।
মৎস্য অধিদপ্তরের ইউনিয়ন কর্মচারী কল্যাণ পরিষদে কর্মকর্তারা গনমাধ্যমকে বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনে ‘ইউনিয়ন প্রকল্প’র রাজস্ব বাজেটের আওতায় আনার দাবি নিয়ে এসেছি। মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজি আমাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হলে আমাদের সমস্যা কেটে যাবে। সেজন্য আমরা অবস্থান নিয়েছি।
লিখিত বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী গ্রাম পুলিশ সংগঠনের সভাপতি লাল মিয়া বলেন, আমরা ৪৭ হাজার বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ। আমাদের ২০০৯ সালে জাতীয় বেতন স্কেলের গেজেট হওয়া সত্ত্বেও আমরা গেজেট মোতাবেক বেতন পাচ্ছি না। তাই আমরা এই বেতন বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারীদের কর্মজীবনের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ, অপ্রাপ্তি ও হতাশা সর্বোপরি বিদ্যামান বৈষম্য দ্রুত নিরসনসহ বিভিন্ন দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
দাবিগুলো:
১. চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে।
২. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালনা করতে হবে।
৩. প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দিতে হবে।
একুশে সংবাদ/জ.ন/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :