প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছর ২৩ এপ্রিল থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস বন্ধ থাকার পর হ্রদে পর্যাপ্ত পানির অভাবে মাছের বংশবিস্তার লক্ষ্যমাত্রায় না হওয়ায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ দুই দফা বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে ৩১ আগস্ট অর্থাৎ ৪ মাস ৮ দিন পর হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হয়েছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক প্রজনন ও কার্প জাতীয় মাছের বংশবিস্তারের লক্ষ্যে প্রতিবছর ৩ মাসের জন্য কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। তবে বংশবিস্তার লক্ষ্যমাত্রায় না হওয়ায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।বর্তমানে হ্রদে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় আশা করছি এবার প্রত্যাশিত পরিমাণে মাছ আহরণ সম্ভব হবে।’
কাপ্তাই জেটিঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মোহাম্মদ বেলাল ও সাধারণ সম্পাদক নবী হোসেন জানান, চার মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর শনিবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হয়েছে। এ নিয়ে জেটি শ্রমিক, জেলে এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ১ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে আবারও ব্যস্ত হয়ে উঠবে কাপ্তাই বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ ঘাট।
উল্লেখ্য, কাপ্তাই কৃত্রিম হ্রদ কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :