ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা জানান তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, ‘বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের বয়স সাড়ে ১২ বছরেরও কম ছিল, তাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাতিলের জন্য সুপ্রিম কোর্টে লিভ টু আপিলের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের আওতাধীন বেদখলকৃত স্থাবর সম্পত্তি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।
পোশাক ও ওষুধ কারখানার শ্রমিকদের কাজে যোগ দিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাক ও ওষুধ শিল্প এলাকায় শ্রমিক ভাইবোনেরা তাদের অভিযোগ জানাতে গিয়ে ক্রমাগতভাবে এই শিল্পের কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ রাখতে বাধ্য করছেন। এটা আমাদের অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তা মোটেই কাম্য নয়। এমনিতেই ছাত্র-শ্রমিক-জনতার বিপ্লবের পর যে অর্থনীতি আমরা পেয়েছি, তা নিয়ম নীতিবিহীন দ্রুত ক্ষীয়মাণ একটা অর্থনীতি। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আমরা এই অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চারের চেষ্টা করছি। আমাদের উদ্যোগে সাড়াও পাচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘শ্রমিক ভাইবোনদের অনেক দুঃখ রয়েছে। কিন্তু সেই দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়ে আপনাদের মূল জীবিকাই বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে সেটা ঠিক হবে না। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস প্রাপ্ত হলে সেটা ঠিক হবে না। মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ করে এসব সমস্যার সমাধান আমরা অবশ্যই বের করবো। আপনারা কারখানা খোলা রাখুন। অর্থনীতির চাকা সচল রাখুন। দেশের অর্থনীতিকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে দিন।’
ভারতসহ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে সেই সম্পর্ক ন্যায্যতা এবং সমতার ভিত্তিতে হওয়ার কথা বলেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে এরইমধ্যে বন্যা মোকাবিলায় উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার আলোচনা শুরু হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সার্ক রাষ্ট্র গোষ্ঠী পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।’
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :