সাবেক স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা বর্ডারের ওপারে বসে বিভিন্নভাবে, এমনকি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তার নেতাকর্মীদের উস্কানি দিচ্ছেন। নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করে দেশকে আবারও অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছেন। এই বিষয়ে বর্তমান সরকারকে আরো বেশি জোরালো ভূমিকা রাখা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর বিএসএমএমইউ (সাবেক পিজি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী ও তার স্ত্রীর স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা দক্ষিণের জনতার মেয়র হিসেবে পরিচিত ইশরাক হোসেন বলেন, বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই শুধু চলমানই থাকবে না, আরও বাড়বে। ভাবছেন স্বৈরাচার পতন হয়েছে একটু শান্তিতে থাকবেন। সেই সুযোগ নাই। আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয় নাই। তাই তৃপ্তির হাসি হাসার কোন সুযোগ নেই।
এসময় ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক অভিযোগ করেন, সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশেই এসএম জিলানী ও তার পরিবারের ওপর হামলা হয়েছে। এমনও হতে পারে আমরা রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি, আমার ওপরও সন্ত্রাসী হামলা করে মেরে ফেলা হলো। সব কিছুই কিন্তু শেখ হাসিনার নির্দেশে হচ্ছে।
তিনি বলেন, জিলানী টুঙ্গীপাড়া থেকে খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছিলেন। এ কারণে জিলানীর ওপর প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে এই হামলা করা হয়েছে। হাসিনার সন্ত্রাসীরা এই কাজ করেছেন। তিনি বর্ডারের ওপারে বসে ফোন ব্যবহার করে তার নেতাকর্মীদের উস্কানি দিচ্ছেন। সারাদেশ থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে লুকিয়ে আছেন বলে অভিযোগ করেন ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
তিনি বলেন, ভারতের বোঝা উচিত- তারা বাংলাদেশের জনগণের বিপক্ষে যতোটুকু গেছেতো গেছেই। এখন যদি হাসিনার মতো একজন স্বীকৃত গণহত্যাকারীকে তাদের দেশে আশ্রয় দেয় এবং বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশে অরাজকতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরিতে সাহায্য করে, তা হবে ভারতের চরম ভুল।
এ পরিস্থিতিতে ইশরাক জনগণকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘যার যা আছে তা নিয়েই প্রস্তত থাকুন। যদি আমরা এমন কোনো কর্মকাণ্ড দেখতে পাই যে, তারা আবারও সংগঠিত হয়ে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের রাজ্যে বা তাদের ব্যাক্তিগত জমিদারিতে পরিণত করার জন্য অপেচেষ্টায় লিপ্ত, তবে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
উল্লেখ্য স্বৈরাচার পতনের পর গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী ও তার স্ত্রী নিজ এলাকায় গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন। হামলায় সেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক নিহত হন।
একুশে সংবাদ/বাং/ট/এন
আপনার মতামত লিখুন :