জুলাই বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে নিজের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে বিশ্বমঞ্চে পরিচয় করিয়ে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এর পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক মাধ্যমে। তবে আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড শব্দটির সঙ্গে একমত নন বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের মুখোমুখি হন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনীতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাম্প্রতিক অনেক প্রসঙ্গ উঠে আসে।
যে আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে, তাতে কোনো একক নেতৃত্ব ছিল না দাবি করে নাহিদ ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষ একে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আন্দোলনটাকে কয়েকজন মিলে পরিচালনা করতে হয়েছে। নিতে হয়েছে নানাজনের বুদ্ধি-পরামর্শ। তবে আমরা একে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন হিসেবেই দেখি।’
আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফ্ল্যাটফর্ম সাধারণ শিক্ষার্থীদের জায়গা। এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারাও ছিলেন। এই আন্দোলনে একক কোনো নেতৃত্ব ছিল না। সাধারণ মানুষ এটাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। একটা সময় আন্দোলন পরিচালনা করতে অনেকেই বুদ্ধি পরামর্শ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে যার (মাহফুজ আলম) কথা বলা হয়েছে তিনি বিশেষভাবে আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন।’
নাহিদ বলেন, ‘তিনি (মাহফুজ আলম) বা আমরা কেউই এ মাস্টারমাইন্ড শব্দের সঙ্গে একমত নই। তিনি (ড. ইউনূস) শব্দটাকে হয়তো ভালোবেসে ব্যবহার করেছেন।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে ’৬৯ এবং ’৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্ররা নেতৃত্ব দিলেও সামনে রাজনৈতিক দল ছিল। আন্দোলনের পর তারা ক্ষমতা নেয়। এবারের আন্দোলনে কোনো রাজনৈতিক দল সামনে ছিল না। ৫ আগস্টের পর এ দায়িত্বটা আমাদের ওপর এসে পড়েছে। যার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না।’
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :