বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তদন্তের জন্য জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পুলিশ সদরদপ্তরের কাছে একগুচ্ছ তথ্য চেয়েছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এআইজি ইনামুল হক সাগর এ তথ্য বলেন, পুলিশ তথ্য সরবরাহ করতে প্রস্তুত।
সূত্রমতে, জাতিসংঘ ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার তদন্ত করছে। তারা জানতে চায়, গণ-অভ্যুত্থানের সময় কতজন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন কতজন, কতটি মামলা হয়েছে এবং কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া, আন্দোলনের সময় পুলিশ কত রাউন্ড গুলি করেছে এবং গুলিবর্ষণের নির্দেশদাতা কে ছিলেন, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর ইতোমধ্যে সারা দেশের ইউনিটগুলোতে তথ্য সংগ্রহের জন্য চিঠি পাঠিয়েছে। সংগ্রহকৃত তথ্য পরবর্তীতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরেকটি সূত্র থেকে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর পুলিশ বাহিনী অভ্যন্তরীণ আটটি পৃথক সংস্কার কমিটি গঠন করেছে এবং সংস্কারের প্রস্তাবনা নিয়ে বৈঠক করেছে।
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলের সদস্যরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের সত্যতা উদঘাটন এবং দায়-দায়িত্ব চিহ্নিতকরণের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নেবে। তদন্তের প্রক্রিয়া গোপনীয় থাকবে এবং এই বিষয়ে তদন্ত দলের সদস্যরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন না।
জাতিসংঘের হাইকমিশনার দপ্তরের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলের নেতৃত্বে রয়েছেন।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :