সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খানের সকল ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
রোববার (৬ অক্টোবর) ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে এসব হিসাব স্থগিত করার নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ।
এছাড়া আজিজ খানের পরিবারের ১১ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। তাদের সবার হিসাবের তথ্য জানার জন্য হিসাবে ফরম লেনদের বিবরণীসহ যাবতীয় তথ্য বিএফআইইউ’র কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
যাদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে—মোহাম্মদ আজিজ খান, মোহাম্মদ ফয়সাল করিম খান, আঞ্জুমান আজিজ খান, আয়শা আজিজ খান, আদিবা আজিজ খান, জাফর উদ্দীন খান, মোহাম্মদ লতিফ উদ্দিন খান, মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন খান, সালমান খান, কর্নেল (অব.) ফারুক খান।
এর আগে, দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরার চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ তাদের পরিবারের আট সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ।
তালিকায় থাকা অন্যরা হলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে সাদাত সোবহান, সাফিয়াত সোবহান ও সাফওয়ান সোবহান এবং তিন পুত্রবধূ সোনিয়া ফেরদৌসী সোবহান, সাবরিনা সোবহান ও ইয়াশা সোবহান।
প্রসঙ্গত, সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকাতে রয়েছেন বাংলাদেশের সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরের ৪১তম শীর্ষ ধনী। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ফোর্বস গত বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নীরিক্ষা ও পরিসংখ্যন অনুযায়ী তার এই অবস্থান তুলে ধরেছে।
২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের ২ তারিখে সর্বশেষ ফোর্বসে প্রকাশিত শীর্ষ ধনকুবের (বিলিয়নিয়ার) তালিকায় ৭৮টি দেশের ২ হাজার ৭৮১ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। তালিকায় ২ হাজার ৫৪৫ নম্বরে রয়েছেন আজিজ খান। যার মোট সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। আয়ের খাত হিসেবে জ্বালানি খাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থ পাচারসংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে ২০১৬ সালে পানামা পেপারসে সামিট গ্রুপের আজিজ খানের নাম শীর্ষে উঠে আসে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান শুরু করে। তবে সরকারি পর্যায়ে প্রভাব এবং আইনি জটিলতায় অনুসন্ধান শেষ করতে পারেনি।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :