জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। এতে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে নেট দুনিয়ায়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আলোচনা হচ্ছে আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে বা কারা সেটি নিয়ে। সম্প্রতি নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বমঞ্চে তার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। মূলত এর পর থেকেই ‘মাস্টারমাইন্ড’ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এরপর শনিবার (১২ অক্টোবর) বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু দাবি করেন, এই আন্দোলনের একমাত্র মাস্টারমাইন্ড হচ্ছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যা করা দরকার সবই করেছেন তারেক রহমান।
এবার মাস্টারমাইন্ড নিয়ে কথা বললেন সোহেল তাজ। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘পত্রিকায় পড়লাম বিএনপির নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন যে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ তারেক রহমান। আবার জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান সাহেব বলেছেন, এই গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব ছাত্র-জনতার, কোনো দলের নয়। আবার কিছুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন- এই গণঅভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হচ্ছে মাহফুজ। আশ্চর্য হওয়ার কিছুই থাকবে না যদি কয়েকদিন পর শোনা যায় যে আসল ‘মাস্টারমাইন্ড’ হচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।’
সোহেল তাজ স্মরণ করিয়ে দেন, ‘আমাদের সবার নিশ্চই মনে আছে, বেচারা প্রিন্স চার্লসের কত বছরই না অপেক্ষা করতে হয়েছিল রাজা হওয়ার জন্য।’
তার এই পোস্ট ঘিরে মন্তব্য বাক্সে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১৮ হাজার নেটিজেন এতে মন্তব্য করেছেন, যার বেশিরভাই সমালোচনামূলক।
এতে হাসান আল মামুন নামে একজন লিখেছেন, ‘সেই হিসেব করলে তো কিছুদিন পর আপনার নাম ও আসতে পারে। এমন মানুষ কিভাবে এই সস্তা লেখা লেখি করে বুঝি না।’
আরিফা রহমান রুমা নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘বঙ্গতাজের জন্য কষ্ট হচ্ছে। আপনার পরিবারের অনেকেই আমার ঘনিষ্ঠ। আপনার প্রোপার চিকিৎসা কেন করাচ্ছে না বুঝলাম না।’
বুলবুল আহমেদ নামে একজন মন্তব্যে লিখেছেন, ‘আপনাকে সত্যি অনেক সন্মান করতাম কিন্তু এখন দেখছি একজন দেশপ্রেমিকের ঘরে আরেক মির্জাফরের জন্ম হয়েছে, কাপাসিয়াবাসী সব সময় আওয়ামী লীগের প্রাণ ছিল, তারাও তাজউদ্দীন আহমেদের সন্তান হিসেবে আপনাকে অনেক সন্মান ও ভালোবাসাতেন, সেটা মনে হয় আর থাকবে না, থাকার কথা না।’
একজন লিখেছেন, ‘হিরো আলমের চিন্তা ভাবনা আরও ভালো।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত সজীব ওয়াজেদ জয়ের পেছনে লাগতে হলো সোহেল তাজকে? সোহেল তাজ ভুলে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়, বঙ্গবন্ধুর রক্ত; যে রক্তের কাছে আমাদের সবার ঋণ আছে।’
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :