সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৬৫ বছর করার দাবি জানানো হয়েছে। প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ) এ বিষয়টি উত্থাপন করে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দাবি জানান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা পত্রপত্রিকা দেখেছি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সসীমা পুরুষের ৩৫ এবং নারীদের ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা কত হবে, সেই বিষয়ে আমরা কোনো সুপারিশ দেখিনি। কমিটি কোনো সুপারিশ দিয়েছে কি না সেটা আমরা জানি না। চাকরিপ্রার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো, সেই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এ বিষয়ে আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই।
অবসরের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে মহাসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, যিনি ৩৫ বছর বয়সে চাকরিতে প্রবেশ করবেন, তাকে অবসর সুবিধা নিতে হলে কমপক্ষে ২৫ বছর চাকরি করতে হবে। তাই ৩৫ এর সঙ্গে ২৫ বছর তাকে তো দিতেই হবে। না হলে তো সে পূর্ণ পেনশন পাবে না। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়স ৫৯ বছর, তবে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৬০ বছর।
‘বিদ্যমান চাকরি আইনের মাধ্যমে অবসরের বয়স বাড়ানো সম্ভব, সমস্যা হওয়ার কথা না। আমরা অবসরের বয়স ৬৫ বছর করার দাবি করছি। আশা করছি, সরকার অবসরের বয়সও নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাড়াবে।’
গত সরকারের সময় ১৫ বছর অনেক কর্মকর্তা বঞ্চিত ছিলেন জানিয়ে মাহবুবুর রহমান বলেন, কোন কাজ করার সুযোগ পাইনি বঞ্চিত ছিলাম। আমাদের অনেকের বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে। কোভিডের সময়েও আমরা কাজ করতে পারিনি। তাই আমরা অবসরের বয়স বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছি। আমরা বলেছি অবসরের বয়স যাতে ৬৫ বছর করা হয়। আমরা মনে করি আমাদের আবেদন যুক্তিযুক্ত।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :