বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে আগামী বুধবার (২৩ অক্টোবর) কিংবা বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে দেশের সব বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার (২১ অক্টোবর) পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, রাজধানী ঢাকাসহ, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রী সে: বাড়তে পারে।
এদিকে সোমবার (২১ অক্টোবর) আবহাওয়া অফিসের এক সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘ডানা’। এ নামটি কাতারের দেওয়া।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। যেন স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থার ঘূর্ণিঝড় অ্যালার্ট অনুসারে, আগামী ২৩ অক্টোবর সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হবে। সেটি ২৩ বা ২৪ অক্টোবর নাগাদ একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
ঘূর্ণিঝড়টি যদি বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের কোনো উপকূলে আঘাত হানে সেক্ষেত্রে এর গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিমি। ঘূর্ণিঝড়টি যদি জোয়ারের সময় উপকূলে আঘাত করে তবে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ থেকে ৮ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলো। তবে ঘূর্ণিঝড়টি যদি ভাটার সময় উপকূলে আঘাত করে তাহলে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে।
অন্যদিকে যদি ভারতের ওড়িশা অভিমুখে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে তাহলে এর বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০-১৫০ কিলোমিটার। পশ্চিমবঙ্গ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ওড়িশা ও পশ্চিম মেদিনীপুরে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। বুধবার থেকে তিন দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। ২৩ তারিখ শক্তি বাড়িয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে বলে । এমন হলে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়া উপকূলবর্তী এলাকা, নিচু এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এদিকে আগামীকালকের (বুধবার) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছুজায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রী সে: কমতে পেতে পারে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :