পঞ্চদশ সংশোধনী বৈধ না অবৈধ এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানির জন্য আগামী ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ ২২ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত ১৯ আগস্ট পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল চেয়ে রিটের শুনানি হয় উচ্চ আদালতে। শুনানি শেষে সংশোধনীটি কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে ৮ সপ্তাহের রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
দেশে এখন পর্যন্ত ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত নির্বাচন হয় তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে, যে নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা মেলে।
নবম সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে আদালতের এক রায়ের আলোকে তড়িঘড়ি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করা হয়। আনা হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী। এমনকি এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোতেও পরিবর্তন আনে তারা।
সংবিধান আইন-২০১১ (পঞ্চদশ সংশোধনী) পাস হয় ২০১১ সালের ৩০ জুন। এর তিনদিন পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল ছাড়াও শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির জনক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এছাড়া সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৪৫টি থেকে বাড়িয়ে ৫০টি করা হয়।
সংবিধানে ৭ অনুচ্ছেদের পরে ৭ (ক) ও ৭ (খ) অনুচ্ছেদ সংযোজন করে সংবিধান বহির্ভূত পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ করা হয়। বিরোধীদল বিএনপির বর্জনের মধ্যে ২৯১-১ ভোটে বিলটি পাস হয়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :