রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীসহ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে তারা ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচির উদ্দেশ্যে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নেন।
এ অবস্থায় ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এপিসি ও জলকামান।
বিক্ষোভকারীদের দাবি হলো- অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করতে হবে; সংবিধান বাতিল করতে হবে; বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন করাসহ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যাত্রা শুরু করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। কিন্তু বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায় তারা। সেখানে তারা বঙ্গভবনের সামনের খালি জায়গায় অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। উপায় না পেয়ে বঙ্গভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তারা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শাহরিয়ার আলী বলেন, আমরা সতর্ক রয়েছি। দুই-তিনটা ব্যানার নিয়ে কিছু মানুষ বিক্ষোভ করছেন। তাদের বাধা দেওয়া হয়নি। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি যেন কিছু না ঘটে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে শহীদ মিনারে শুরু হয়েছে গণজমায়েত। গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তার ফেসবুকে এক পোস্ট থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সবাইকে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পোস্টে ছাত্রলীগকে তিনি `সন্ত্রাসী` হিসেবে বর্ণনা করে নিষিদ্ধের দাবি জানান। এছাড়া নিজের পোস্টে রাষ্ট্রপতিকে `ফ্যাসিবাদের দোসর` অ্যাখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বিকেলে শহীদ মিনারে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। ফেসবুকে সবাইকে শহীদ মিনারে আসার আহ্বান জানিয়ে সারজিস আলম লিখেছেন, সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ, ফ্যাসিস্টের দোসর চুপ্পুর পদত্যাগের দাবিতে শহীদ মিনারে গণজমায়েতে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার সাথে দেখা হচ্ছে ৷
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :