তেলবাহী ট্রেনের খালি কনটেইনার লাইনচ্যুত হওয়ার ১১ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে রাত ১টার দিকে জীবননগর উপজেলার আনসারবাড়ীয়া রেল স্টেশনের অদূরে একটি তেলবাহী ট্রেনের (এসকে টু ডাউন) ৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ওই ঘটনায় পাকশী বিভাগী প্রধান (পরিবহন) আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী চাঁদ আহমেদ বলেন, সকাল থেকে খুলনা ও পার্বতীপুর থেকে আসা দুটি দল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। বেলা ১১টার মধ্যে লাইন থেকে ৮টি বগি অপসারণ করা হয়। এরপর উদ্ধারকারী দল দুটি মালামাল গুছিয়ে চলে যায়। দুপুর ১২টার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চাঁদ আহমেদ আরও বলেন, এ ঘটনা তদন্তে চার সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে প্রধান হিসেবে আছেন বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন। তদন্তের পর জানা যাবে এ ঘটনায় চালকের কোনো গাফিলতি আাছে কিনা।
উথলী রেল স্টেশনের মাস্টার মিন্টু কুমার রায় বলেন, আনসারবাড়ীয়া রেল স্টেশনটি ক্লোজ ডাউন স্টেশন। সেখানে কোনো স্টেশন মাস্টার নেই। রাতে তেলবাহী ট্রেনটি ঈশ্বরদী থেকে খুলনার দিকে যাচ্ছিল। তবে ট্রেনটি আনসারবাড়ীয়া রেল স্টেশনের ডাউন সিগন্যালের ১১ নম্বর পয়েন্টের কাছে পৌঁছালে ৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে খুলনাগামী চিত্রা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা পড়েছে। খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
উদ্ধারকারী দলের প্রধান পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন বলেন, সবগুলো বগি উদ্ধার হয়েছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :