প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা ভারতের ওড়িশা রাজ্যে আঘাত হেনেছে। এর প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছিল আগেই, এখনও তা বহাল আছে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় সম্ভাবনা আছে জলোচ্ছ্বাসেরও।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে এখন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন ওড়িশা–পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকা অবস্থান করছে।
এটি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চট্রগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা বন্দরের ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। শুক্রবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি নগদপুরী সাগর দ্বীপের মাঝখান দিয়ে ভারতের উত্তর ওড়িশা–পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঘুর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে তারা স্বল্প সময়ের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২–৩ ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :